খবর ৭১: পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে জড়িত বলে যুক্তরাষ্ট্র যে ইঙ্গিত করেছে, তার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে চীন। সোমবার এ ইস্যুতে নিজেদের অবস্থান ব্যক্ত করেন চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লু কুং।
চীনের পক্ষ থেকে জোর দিয়ে বলা হয়েছে, সন্ত্রাসী ঘাঁটিতে অভিযান কোনো এক দেশের দায়িত্বে ছেড়ে দেয়া যায় না। সাংবাদিকদের লু কুং বলেন, সন্ত্রাস দমনে পাকিস্তান তার দায়িত্ব পূর্ণভাবে পালন করছে।
সন্ত্রাস দমনে পাকিস্তানকে রাজি করাতে চীন সহায়তা করতে পারে- হোয়াইট হাউসের এমন মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা বলেন।
লু কুং বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদ মানবজাতির প্রকাশ্য শত্রু এবং এর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সম্মিলিতভাবে লড়াই করতে হবে। সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে নির্দিষ্ট কোনো দেশ সম্পৃক্ত- চীন সব সময় এই ধারণার বিরোধিতা করে। কোনো দেশকে সন্ত্রাসবাদ দমনে ব্যবহার করা উচিত- এই ধারণাও চীন সমর্থন করে না। আমরা অনেকবার বলেছি, সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে পাকিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ অবদান আছে ও দেশটি অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছে।’
পাকিস্তান ‘সন্ত্রাসীদের নিরাপদ স্বর্গ’- এমন অভিযোগ তুলে গত সপ্তাহে দেশটিতে দুই বিলিয়ন ডলারের সহায়তা স্থগিত করে মার্কিন প্রশাসন। পাকিস্তানকে চাপে রাখতে এমন পদক্ষেপ নেয়া হয়। ডেনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
তবে চীন বরাবরই ‘বিশ্বস্ত বন্ধু’ পাকিস্তানের পক্ষে থেকেছে। চলতি বছরের প্রথম টুইটার বার্তায় ট্রাম্প বলেন, গত ১৫ বছর ধরে পাকিস্তানকে সন্ত্রাস দমনে ৩৩ বিলিয়ন ডলার দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু পাকিস্তান শুধু ‘মিথ্যা বলেছে’ ও ‘প্রতারণা করেছে’।
চীনা গণমাধ্যমগুলোর ভাষ্যমতে, চীনের সঙ্গে মিলে পাকিস্তান ৫০ বিলিয়ন ডলারের যে অর্থনৈতিক করিডোর (সিপিইসি) করছে, সেখান থেকে দেশটিকে ফিরিয়ে আনতে চায় মার্কিন প্রশাসন। এজন্য ইসলামাবাদকে চাপে রাখতে চাইছে তারা। ইরানের চাবাহার বন্দরের কাছে পাকিস্তানের জিওয়ানিতে চীনকে একটি সামরিক ঘাঁটি করতে দেয়া হবে বলেও জানাচ্ছে চীনা গণমাধ্যমগুলো।