খবর৭১: আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো রাজনৈতিক দলের ভোট বর্জনের আশঙ্কা দেখছেন না প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা। তিনি বলেছেন, ‘কোনো রাজনৈতিক দলের নির্বাচন বয়কট করার আশঙ্কা নেই। আর যদি কেউ বয়কট করে, সেক্ষেত্রে সাংবিধানিক যে প্রক্রিয়া আছে সে অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের কাজ করতে হবে।’
বিবিসির প্রবাহের টিভি অনুষ্ঠানে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এসব কথা বলেন।
জাতীয় নির্বাচনের আগে সেনাবাহিনী মোতায়েন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিতর্ক হয়। সাক্ষাৎকারে বিষয়টি সম্পর্কে জানাতে চাইলে সিইসি বলেন, ‘বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনে সেনা মোতায়েন একটি বাস্তবতা।
নুরুল হুদা বলেন, ‘আগের নির্বাচনগুলোতে সেনা মোতায়েন হয়েছে। সুতরাং এবারের নির্বাচনগুলোতে যে সেনা মোতায়েন হবে না সেটা বলা যাবে না। আমরা তো সেনা মোতায়েনের বিপক্ষে কিছু দেখি না।’
সিইসি বলেন, ‘সংবিধানের বাইরে তো কিছু করা যাবে না। তবে আমি শতভাগ আশাবাদী সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।
বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি মনে করে একটি নিরপেক্ষ সরকার না থাকলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে বিএনপিকে আশ্বস্ত করার জন্য নির্বাচন কমিশন কী করতে পারে? এমন প্রশ্নে সিইসি বলেন, ‘আমি বলতে পারি নির্বাচন কমিশন যে পরিবেশ-পরিস্থিতি হোক না কেন, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করবে। গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশন বদ্ধপরিকর। কোন ধরনের সরকার হবে এটা নির্বাচন কমিশন নির্ধারণ করতে পারে না।’
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের সংলাপ অনুষ্ঠিত হবার বিষয়টি তুলে ধরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, সে সংলাপের উদ্দেশ্য ছিল সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে একটি নির্বাচন অনুষ্ঠান করা এবং সংলাপের মাধ্যমে সবগুলো রাজনৈতিক দল আশ্বস্ত হয়েছে। তারা সবাই বিশ্বাস করেছেন নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব।
বর্তমান কমিশনের অধীনে ৬০০’র বেশি স্থানীয় সরকার নির্বাচন হয়েছে এবং সেগুলো নিয়ে কোনো বিতর্ক সৃষ্টি হয়নি বলে দাবি করেন নুরুল হুদা।
খবর৭১/জি: