খবর৭১: চলতি অ্যাশেজ সিরিজে আবারো ইনিংস ব্যবধ্যানে হেরেছে সফরকারী ইংল্যান্ড। সিডনিতে শেষ টেস্টে ইনিংস ও ১২৩ রানে হেরেছে তারা। ফলে ৪-০ তে সিরিজ শেষ করলো অস্ট্রেলিয়া।
মেলবোর্নের চতুর্থ টেস্টের পিচটাকে ধন্যবাদ দিতেই পারে ইংল্যান্ড। কেননা ওই টেস্টটি ড্র হওয়াতেই ৫-০তে হোয়াইটওয়াশ এড়াতে পেরেছে তারা।
এবারের অ্যাশেজে অস্ট্রেলিয়ার চার জয়ের দুটি ইনিংস ব্যবধানে। অস্ট্রেলিয়ায় ১৯৯৪-৯৫ সালের পর এই প্রথম অ্যাশেজের পাঁচ টেস্টই পঞ্চম দিন পর্যন্ত গেল। যেখানে আধিপত্যটা ছিল অস্ট্রেলিয়ার। অস্ট্রেলিয়ায় আবার অ্যাশেজ ফিরবে ২০২১ সালে। এর আগে ২০১৯ সালে ঘরের মাঠে অ্যাশেজ ট্রফি পুনরুদ্ধারের সুযোগ পাচ্ছে ইংল্যান্ড।
চতুর্থ দিন শেষে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল ৪ উইকেটে ৯৩ রান। অস্ট্রেলিয়াকে আবার ব্যাটিংয়ে নামাতে আজ (সোমবার) শেষ দিনে ২১০ রান করতে হতো ইংলিশদের। সফরকারীদের একমাত্র আশা ছিল জো রুটকে নিয়ে। চতুর্থ দিন শেষে অধিনায়ক অপরাজিত ছিলেন ৪২ রানে। কিন্তু রুট আজ দিনের শুরুতে ব্যাটিংয়েই নামতে পারেননি।
পানিশূন্যতায় সকালে হাসপাতালে যেতে হয়েছিল রুটকে। খেলা শুরুর আগে মাঠে ফিরে আসেন। তবে দেরি হওয়ায় ব্যাটিংয়ে নামতে পারেননি। জনি বেয়ারস্টোর সঙ্গে দিনের খেলা শুরু করেন মঈন আলী।
দুজন প্রায় এক ঘণ্টা কাটিয়ে দিয়েছিলেন। মঈনকে (১৩) এলবিডব্লিউ করে জুটি ভাঙেন অস্ট্রেলিয়ান স্পিনার নাথান লায়ন।মঈনের বিদায়ের পরই উইকেটে আসেন রুট। তবে নিয়মিত বিরতিতেই পানি পান করতে হয়েছে তাকে। সিরিজে নিজের পঞ্চম ফিফটি তুলে নিয়েছিলেন। তবে লাঞ্চের পর আর ক্রিজে ফেরেননি। ৫৮ রান নিয়ে ‘রিটায়ার্ড হার্ট’ থাকতে হয় রুটকে।
অধিনায়কের অনুপস্থিতিতে ইংল্যান্ডের লোয়ার অর্ডার আসা-যাওয়ার মধ্যেই ছিল। ইংলিশদের জয়ের সুযোগ ছিল না।
একমাত্র পথ ছিল, শেষদিনে মাটি কামড়ে পড়ে থাকা। সেই চেষ্টাটা করেছেন রুট, জনি বেয়ারস্টো। ৪ উইকেটে ৯৩ রান নিয়ে খেলতে নামা সফরকারিরা প্রথম সেশনে কেবল হারিয়েছিল মঈন আলীর (১৩) উইকেটটি।
তবে ৫ উইকেটে ১৪৪ রান নিয়ে লাঞ্চে যাওয়া ইংল্যান্ড বিরতির পর আর অস্ট্রেলিয়ার বোলিং তোপ সামলে উঠতে পারেনি। ওই রানেই প্যাট কামিন্সের শিকার হয়েছেন বেয়ারস্টো (৩৮)। এরপর লেজ ছেঁটে দিতে আর বেশি সময় নেননি অজি পেসাররা। ৮৮.১ ওভারে ইংল্যান্ড অলআউট হয়েছে ১৮০ রানে। ২৩ রানে অপরাজিত ছিলেন টম কুরান।
প্যাট কামিন্স ৩৯ রানে ৪টি, নাথান লায়ন নিয়েছেন ৩টি উইকেট। একটি করে উইকেট নিয়েছেন মিচেল স্টার্ক আর জশ হ্যাজলউড।
দুই ইনিংস মিলিয়ে ৮ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতেছেন প্যাট কামিন্স। সিরিজ সেরা হয়েছেন স্মিথ। সিরিজে তার রান ৬৮৭, যা ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ডেভিড মালানের চেয়ে ৩০০’র বেশি!
ইংল্যান্ড সিরিজটা বড় ব্যবধানে হারলেও এবার লড়াই করেছে বেশ। ১৯৯৪-৯৫ মৌসুমের পর এবারই প্রথম অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সবগুলো টেস্ট পাঁচদিন পর্যন্ত টেনে নিতে পেরেছে তারা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংস: ৩৪৬ ও দ্বিতীয় ইনিংস: ১৮০ (রুট ৫৮, বেয়ারস্টো ৩৮, কুরান ২৩*; কামিন্স ৪/৩৯, লায়ন ৩/৫৪, হ্যাজেলউড ১/৩৬, স্টার্ক ১/৩৮)
অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংস: ৬৪৯/৭ ডিক্লে. (খাজা ১৭১, শন মার্শ ১৫৬, মিচেল মার্শ ১০১, স্মিথ ৮৩, ওয়ার্নার ৫৬; মঈন ২/১৭০)
ফল: অস্ট্রেলিয়া ইনিংস ও ১২৩ রানে জয়ী
সিরিজ: পাঁচ ম্যাচ সিরিজ অস্ট্রেলিয়া ৪-০ তে জয়ী
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: প্যাট কামিন্স
ম্যান অব দ্য সিরিজ: স্টিভ স্মিথ
খবর৭১/জি: