মো:আখতারুজ্জামান তালুকদার, জামালগঞ্জ থেকে::
জামালগঞ্জের ইতিহাস গ্রন্থের লেখক গোলাম মর্ত্তুজা স্যারের প্রথম মৃত্যু বার্ষিকী পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষ্য পরিবারের পক্ষ থেকে শনিবার তার নিজ গ্রাম লক্ষীপুরে মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনায় স্বরনে অালোচনা সভা মিলাদ মাহফিল ও শিরনি বিতরন করা হয়েছে। এতে আত্নীয় স্বজন সহ উপজেলার গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্হিত ছিলেন।
জামালগঞ্জ কিন্ডারগার্টেন সোমবার সকালে অধ্যক্ষ গোলাম মর্ত্তুজা স্যার স্বরনে আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। গোলাম মর্ত্তুজা স্যার একজন সৎ অাদর্শবান মানুষ ছিলেন।অালোকিত মসাজ গঠনে সুশিক্ষা সাহিত্য সংস্কৃতি প্রতি তার অগাধ বিচরন ছিল।জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লেখাপড়া শেষ করে মহান পেশা হিসাবে শিক্ষকতায় কর্ম জীবন শুরু করেন।উপজেলার ৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্টাতা প্রধান শিক্ষক ছিলেন।বেশ কয়েকটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারি শিক্ষক ও জামালগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে সিনিয়র শিক্ষক হিসাবে অবসর গ্রহন করেন। অবসর কালীন সময়ে জামালগঞ্জ কিন্ডারগার্টেন অধ্যক্ষ ছিলেন।এছাড়া বিভিন্ন সময়ে জামালগঞ্জ পাবলিক লাইব্রেরী,ভূমি মন্ত্রনালয় কতৃক ঋন সালিশী বোর্ডের সদস্য,বাংলা পিডিয়া প্রণয়নে এশিয়াটিক সোসাইটি অব বাংলাদেশ কতৃক লেখকের দায়িত্ব পালন করেন।তিনি একজন সাহিত্য প্রেমি ছিলেন,তার সম্পাদনায় অনেক সাময়িকী ও স্বরনিকা প্রকাশ হয়েছে। তার লেখা অনেক নাটক মঞ্চায়িত হয়েছে। মর্ত্তুজা স্যারের অনবদ্য কালজয়ী সৃষ্টি জামালগঞ্জের ইতিহাস। স্নৃতির অলিন্দে প্রকাশ হবে খুব শিগগির। জামালগঞ্জের সাহিত্য সংস্কৃতি চর্চায় তার ভূমিকা ছিল অপরিসীম। আপাদমস্তক একজন সাদা মনের মানুষ ছিলেন। তার কর্ম ও সৃষ্টিতে সকলের শ্রদ্বার প্রাত্র হয়ে ছিলেন। সমাজ মর্ত্তুজা স্যার কে দীর্ঘ দিন স্বরন রাখবে। ২০১৭ খ্রি:৮জানুয়ারি রোজ রবিবার রাত সড়ক দূর্ঘটনায় আহত হয়ে পৃথিবী মায়া ত্যাগ করে পরলোক গমন করেন।
খবর৭১/জি: