খবর৭১:পাবনা প্রতিনিধি:
পাবনার নবাগত জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিনকে বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি ও ফলমূল দিয়ে ব্যতিক্রমী সংবর্ধনা দিয়েছেন ঈশ্বরদীর সফল ও জাতীয় পদকপ্রাপ্ত কৃষকরা। রবিবার দুপুরে বাংলাদেশ কৃষক উন্নয়ন সোসাইটির সভাপতি ছিদ্দিকুর রহমান ওরফে কুল ময়েজের নেতৃত্বে কৃষকরা জেলা প্রশাসককে এ সংবর্ধনা জানান।
এ সময় ঈশ্বরদীর বিভিন্ন কৃষিক্ষেত্রে সফল ও জাতীয় পুরষ্কারপ্রাপ্ত কৃষকরা মাছ, মোরগ, লাউ, পেঁপেঁ, ডিম, গাঁজর, পুঁইশাক, আমড়া, কফি, শিম, টমেটো, বেগুন, মিষ্টি কুমড়া, কাঁচা মরিচ, আলু সহ বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি ও ফলমূল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান নবাগত জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিনকে।
কৃষকদের মাধ্যমে এই অভিনব ও ব্যতিক্রমী সংবর্ধনা পেয়ে খুশি জেলা প্রশাসক। তিনি ধন্যবাদ জানিয়ে পাবনার কৃষকদের পাশে থাকার ইচ্ছা ব্যক্ত করেন। পরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে কৃষক-কৃষাণীদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন জেলা প্রশাসক।
সভায় বক্তব্য দেন, জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন, সদর উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল মামুন, বাংলাদেশ কৃষক উন্নয়ন সোসাইটির সভাপতি সিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে কুল ময়েজ, সাধারণ সম্পাদক কিতাব আলী ওরফে লিচু কিতাব, বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি স্বর্ণ পদক প্রাপ্ত কৃষক বেলী বেগম, বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পদক প্রাপ্ত কৃষক হাবিবুর রহমান ওরফে মৎস হাবিব, বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পদক প্রাপ্ত সফল কৃষক জাহিদুল ইসলাম ওরফে গাজর জাহিদ, চ্যানেল আই’র পাবনা প্রতিনিধি আখতারুজ্জামান আখতার।
এ সময় বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পদক প্রাপ্ত কৃষক রাজিব মালিথা ওরফে পোল্ট্রি রনি, বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পদক প্রাপ্ত সফল কৃষক আলহাজ্ব রবিউল ইসলাম, ঈশ্বরদী পৌরসভার কাউন্সিলর আবুল হাসেম, সিআইজি ঈশ্বরদী শাখার সভাপতি মুরাদ মালিথা, পোল্ট্রি চাষি আলহাজ্ব আব্দুল হাকিম, মৎস্য চাষি আবু তালেব জোয়াদ্দার, মৎস্য চাষি কবির মালিথা, সুলতানা ইয়াসমিন শিল্পী, সোলায়মার হোসেন ও সাইদার হোসেন বাবুসহ ঈশ্বরদীর বিভিন্ন স্তরের কৃষকেরা উপস্থিত ছিলেন।
কৃষকরা তাদের বক্তব্যে বলেন, কৃষকের উৎপাদিত সকল পণ্যেই বর্তমানে লোকসান হচ্ছে। এরপর তা হাট-বাজারে বিক্রি করতে গেলে খাজনার নামে ইজারাদারের লোকেরা কৃষকদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছেন শতকরা দশ টাকা। এক দিনের একটি বাচ্চাসহ একটি গরু বিক্রি করলেও খাজনা গুনে দিতে হয় এক হাজার টাকা। কৃষি পণ্য বিক্রির পর কৃষকের কাছ থেকে খাজনা নেয়া সরকারের পক্ষ থেকে নিষেধ থাকলেও ইজারাদারের লোকেরা বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে তাদের ইচ্ছে মতো অধিকমাত্রায় খাজনা আদায় করছেন। এছাড়া মাঠ থেকে কৃষি পণ্য হাটে নিতেও পুলিশ বাধা সৃষ্টি করে চাঁদা আদায় করে। এসব বিষয়ে কৃষকেরা জেলা প্রশাসকের সহযোগিতা কামনা করেছেন। জেলা প্রশাসক কৃষকদের সমস্যাগুলো সমাধানে পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দেন।
খবর৭১/জি: