খবর৭১: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, সমাজের বিভিন্ন স্তরে ভাতা চালু থাকলেও তার সরকার ভাতানির্ভর জাতি গড়তে চায় না। কর্মোক্ষম সবাই কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করবে এটাই তার চাওয়া। তবে সমাজে যেন কোনো বৈষম্য না থাকে সে ব্যাপারে সচেষ্ট তার সরকার।
মঙ্গলবার সকালে বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। জাতীয় সমাজসেবা দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন তিনি। পরে শেখ হাসিনা এই দিবসের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
সরকার বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধীসহ সমাজে বিভিন্ন স্তরে ভাতা দিচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ভাতা দেয়ার একটি লক্ষ্য আছে। কেউ যেন এই ভাতার ওপর নির্ভরশীল না হয়। এজন্য আমরা বেশি পরিমাণে ভাতা দিতে চাই না যার কারণে হাত গুটিয়ে বসে থাকে।’ তবে কেউ যেন ক্ষুধার্ত কিংবা অবহেলার শিকার না হয় সে দিকে তার সরকার বিশেষ লক্ষ্য রাখছে বলে জানান তিনি।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী সুশীল সমাজের যারা ভাতার পরিমাণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেন তাদের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘কেউ কেউ বলেন এই সামান্য ভাতা দিয়ে সংসার কীভাবে চলে। আমরা কারও সংসার চালানোর দায়িত্ব নেব না। সংসার যার চালাবে সেই। আমরা শুধু অসহায়দের সহযোগিতা করতে চাই। কেউ যেন অভুক্ত ও অবহেলার শিকার না হয় সে দিকে আমাদের লক্ষ্য।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি চাই সবাই কর্মমুখর হয়ে উঠুক। কেউ যেন ভাতার দিকে তাকিয়ে না থাকে।’
প্রধানমন্ত্রী জানান, আগে প্রতিবন্ধীদের ভাতা দেয়া হতো না। তিনি সরকারে আসার পর এই ভাতার ব্যবস্থা করেছেন। সরকার ৮০ হাজার প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীকে ভাতা দিচ্ছে বলেও জানান তিনি। এছাড়া শিশু-কিশোর, নারী, প্রতিবন্ধীসহ সমাবের সব স্তরের মানুষের সুরক্ষায় সরকার বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে বলেও জানান শেখ হাসিনা।
সমাজে কেউ অবহেলিত থাকবে না জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা হিজড়াদের তৃতীয় লিঙ্গের মর্যাদা দিয়েছি। তাদের শিক্ষা, ট্রেনিং ও ভাতার ব্যবস্থা করেছি। হিজড়াদের সমাজের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে লাগানো যায় বলে মত দেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির জনকের দেখানো পথে আমরা দেশকে উন্নত করতে চাই। তবে সেই উন্নয়নটা সবার জন্য হতে হবে সমানভাবে।’ এ সময় তিনি ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীতে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গড়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
খবর৭১/এস: