গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : রিমা নামের একটি সাত বছরের একটি শিশু। জন্মের পর থেকেই হার্টের মারাত্বক রোগে ভুগছে। দিনের পর দিন অবস্থার অবনতি হচ্ছে। রিমার বাবা আ: সালাম সরদার (৩০) এক ধরনের বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কাজ করেন গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালের সামনে নিরিবিলি হোটেলে। রিমার ছোট একটি ভাই রয়েছে যার বয়স মাত্র চার বছর। মা এরিনা বেগম সংসারের কাজের পাশাপাশি অন্যের বাড়িতে টুকটাক কাজ করেন ও নিজের সংসার সামলান। রিমাদের বাড়ি গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার কাজুলিয়া গ্রামে।
রিমার হার্টের সমস্যা ধরা পড়ার পর রিমার বাবা তার চিকিৎসার জন্য কখনো গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে, কখনো ঢাকাস্থ শিশু হাসপাতালে তার সামর্থ্য অনুযায়ী চেষ্টা করেছেন। কিন্তু রিমার অবস্থার কোন উন্নতি হয়নি বরং ধীরে ধীরে সে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ঢাকা হার্ট ফাউন্ডশন থেকে বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা জরুরী ভিত্তিতে রিমার অপারেশন করার পরামর্শ দিয়েছেন। রিমার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন কমপক্ষে দুই লাখ টাকা। এত টাকা যোগাড় করা রিমার বাবার পক্ষে একেবারেই অসম্ভব। সারা দিন মনমরা হয়ে থাকেন, শুধু কান্নাকাটি করেন। মেয়েকে কি ভাবে সুস্থ করা যায় সে কথাই ভাবেন। নিরিবিল হোটেলে গিয়ে জানা যায় মাত্র সাত বয়সী হার্টের রোগে ধীরে ধীরে শেষ হতে যাওয়া নিষ্পাপ শিশু রিমার বিষয়টি।
রিমার বাবার সাথে কথা বলতে গেলে তিনি গুছিয়ে কথা বলতে পারেন না তিনি। শুধু নির্বাক ভাবে তাকিয়ে থাকেন কলিজার টুকরা সন্তানের জন্য কিছু করতে না পারার অসহায়ত্ব নিয়ে।
তার সহকর্মীর কাছ থেকে জানা যায় বুদ্ধি প্রতিবন্ধী, অসহায় আ: সালাম তার মেয়ে রিমার জন্য সমাজের বিবেকবান, বিত্তবান, মানুষের জন্য যারা কাজ করেন, তাঁদের নিকট থেকে আর্থিক সহযোগিতা কামনা করেছেন। পাশাপাশি যারা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে কাজ করেন তাদের প্রতি মানবিক দাবি জানিয়েছেন স্ব স্ব মিডিয়াতে রিমাকে নিয়ে সংবাাদ প্রকাশ করলে রিমার উপকার হতে পারে বলে মনে অনেক বিশ্বাস তার।
সমাজের বিত্তবান ও বিবেকবানদের প্রতি মাত্র সাত বয়সী হার্টের রোগে ধীরে ধীরে শেষ হতে যাওয়া নিষ্পাপ শিশু রিমার সাহায্যের জন্য মানবিক আবেদন জানিয়েছেন রিমার বাবা আ: সালাম সরদার।
খবর ৭১/ ই: