খবর৭১: বিদেশের মাটিতে মৃত্যুর মিছিলে প্রতিনিয়ত যোগ হচ্ছে বাংলাদেশীরা। মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে গত ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশটিতে ছয় হাজার ৫৪ জন বাংলাদেশীর মৃত্যু হয়েছে। যাদের বেশিরভাগই মৃত্যু হয়েছে হৃদরোগ, সড়ক দুর্ঘটনা ও ভবন নির্মাণের কাজের সময়।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে বাংলাদেশীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় মূলত ওই অঞ্চল থেকেই মরদেহ আসছে সর্বাধিক। এর মধ্যে তালিকার শীর্ষে আছে সৌদি আরব। দুই নম্বরে মালয়েশিয়া। এরপর আরব আমিরাত, ওমান ও কুয়েত।
গত ১০ বছরে কেবল সরকারি হিসাবেই বিভিন্ন দেশে মারা গেছেন ২৪ হাজার ৩৮১ জন। এই হিসাব কেবল বিমানবন্দর হয়ে যেসব মরদেহ বাংলাদেশে গেছে এবং দূতাবাস ও জনশক্তি রফতানি ব্যুরো (বিএমইটি) যেসব বাংলাদেশীর মরদেহ বাংলাদেশে পাঠাতে দাফতরিক সহায়তা দিয়েছে তাদের নিবন্ধিত হিসাব মাত্র। প্রকৃত হিসাবে এই সংখ্যা থেকে আরও বেশি বলে মনে করেন সাধারণ জনগণ। বিভিন্ন জটিলতার কারণে অনেক সময় লাশ বিদেশের মাটিতেই দাফন করা হয়।
জানা যায়, সরকারি হিসাবে ২০০৫ সাল থেকে ২০১৫ সালের এপ্রিল পর্যন্ত বিদেশের মাটিতে প্রবাসী বাংলাদেশী মারা গেছেন ২৪ হাজার ৩৮১ জন। তবে ১০ বছরের তুলনায় সাম্প্রতিক কয়েক বছরে বিদেশে প্রবাসী মৃত্যুর হার দ্বিগুণেরও বেশি।
পরিসংখ্যানে জানা যায়, দেশে প্রতি মাসে প্রবাসীর মরদেহ আসছে ১৯৭টি। তবে গত চার মাসের হিসাব আরও উদ্বেগজনক। প্রতিদিন গড়ে ১০টির মতো মরদেহ দেশে যাচ্ছে বলে এয়ারপোর্ট সূত্রে জানা গেছে। এই হিসাবের বাইরে যাদের বিদেশে দাফন করা হচ্ছে তাদের সংখ্যা কত সে ধরনের কোনো তথ্য সংশ্লিষ্টদের কাছে পাওয়া যায়নি।
এদিকে, বিভিন্ন অপরাধে ৪৭টি দেশে ৭৮ জন বাংলাদেশীকে ওইসব দেশের আদালতের রায়ে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। এছাড়া মানবিক কারণে ২৯ জনের মৃত্যুদণ্ড রহিত করে তাদের অন্য দণ্ড দিতে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, গত কয়েক বছরে বিদেশ থেকে যত মরদেহ এসেছে তার প্রায় ৬৫ ভাগ এসেছে সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, আরব আমিরাত, ওমান ও কুয়েত থেকে।
প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ওয়েজ আনার্স কল্যাণ বোর্ড প্রবাসী শ্রমিকদের মরদেহ দেশে পাঠানোর খরচ বহন করে।
খবর৭১/জি: