খবর ৭১: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপিকে আনতে আওয়ামী লীগ কোনো পদক্ষেপ নেবে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর পুত্র ও তার তথ্য বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
তিনি বলেছেন, নির্বাচনে বিএনপি আসতে চাইলে আসবে, না আসতে চাইলে আসবে না।
রোববার রাতে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ৭১-এ এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
মিথিলা ফারজানার উপস্থাপনায় একাত্তর সংযোগে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, গত নির্বাচনে (দশম জাতীয়) বিএনপিকে আনতে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খালেদা জিয়াকে ফোন দিয়েছিলেন। যে ফোনের কথোপকথন আপনারা শুনেছেন। কিন্তু তারা নির্বাচনে আসেনি। এরপর খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো যখন মারা গেলেন তখন আমাদের প্রধানমন্ত্রী, খালেদা জিয়াকে সমবেদনা জানাতে তার বাড়ি গেলেন। কিন্তু সেখানেও আমার মাকে (শেখ হাসিনা) অপমান করা হলো। তাহলে আমরা বিএনপিকে কীভাবে নির্বাচনে আনব।
জয় বলেন, একজন চালাক ব্যক্তি একই ভুল বার বার করে না; বরং একজন বোকা ব্যক্তি একই ভুল বার বার করে। এক হাতে কখনও তালি বাজে না। একা একা কখনও আলোচনা হয় না।
রংপুরের সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ফলাফল প্রসঙ্গে জয় বলেন, রংপুরের নির্বাচন দিয়ে আওয়ামী লীগের জনসমর্থন বিবেচনা করলে হবে না। কারণ নির্বাচনে জয়-পরাজয় থাকতেই পারে। তবে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা কোনো অংশে কমেনি। আওয়ামী লীগ অত্যন্ত জনপ্রিয়।
জয় বলেন, রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কী কারণে আমাদের পরাজয় হলো তার কারণ খুঁজে বের করতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। এ সময় তিনি বিএনপির সাথে তুলনা করে বলেন, রংপুর নির্বাচনে বিএনপির চেয়ে আমরা অনেক এগিয়ে। এ থেকেই বোঝা যায় বিএনপির জনসমর্থন কতটুকু? তাদের কোনো জনসমর্থনই নেই।
তিনি আরো বলেন, যে দল সাধারণ মানুষের কথা বিবেচনা না করে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য মানুষকে পেট্রোল বোমা, ককটেল মেরে পুড়িয়ে মারে, তারা আবার কীভাবে ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন দেখে।
প্রধানমন্ত্রী উপদেষ্টা বলেন, আওয়ামী লীগের জনসমর্থনে যেটুকু ঘাটতি আছে তার কারণ খুঁজে বের করা হচ্ছে। জনগণের দোরগোড়ায় আমরা যাচ্ছি। তারা কি চাচ্ছে সেটি আমরা বোঝার চেষ্টা করছি।
আওয়ামী লীগের পরবর্তী নেতৃত্বে কে আসবেন এমন প্রশ্নে জয় বলেন, আওয়ামী লীগ হলো একটি গণতান্ত্রিক দল। আমাদের প্রতি তিন বছর পর একটি কাউন্সিল হয়। সেখানে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলররাই নির্বাচন করে বেছে নেয় তাদের নেতৃত্ব কে দেবে। এতদিন তারা আমার মা শেখ হাসিনাকেই রেখেছে। ভবিষ্যতে তারা কাকে চাইবে এটা তাদের ওপরই নির্ভর করবে।
রাজনীতিতে কবে আসবেন এমন প্রশ্নে সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, রাজনীতিতে কবে আসব সেই সিদ্ধান্ত এখনও আমি নেইনি। কারণ আমাদের পরিবারের কারোই কখনও ক্ষমতা, টাকা-পয়সার লোভ হয়নি। আমরা দেশ ও দলের জন্যই কাজ করতে ভালোবাসি। আমি কাজ করে যাচ্ছি দলকে ক্ষমতায় রাখার জন্য এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করার জন্য।
তথ্য ও প্রযুক্তি খাতের কথা তুলে ধরে জয় আরো বলেন, আমাদের প্রযুক্তি খাতে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। প্রতিটি জেলার একটি করে হাইটেক পার্ক করার উদ্যোগ নিয়েছি। এছাড়া ইন্টারনেটের দাম কমিয়ে দিয়েছি, যাতে মানুষ ভাল এবং স্বল্প দামে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে হবে। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ইন্টারনেটের দাম ৯৯ শতাংশ কমানো হয়েছে। এবং আমাদের দেশের মানুষ বরং বাসাবাড়িতে নেট সংযোগ না নিয়ে বরং তারা স্মার্ট ফোনে নেট চালানো শুরু করেছে। যেটি উন্নত বিশ্বের মানষু করে থাকে।
তিনি বলেন, বর্তমানে আমরা থ্রিজিতে আছি। আগামী বছর আমারা ফোরজিতে চলে যাব।