শরণার্থীদের দ্রুত ফেরত পাঠানো হবে: প্রধানমন্ত্রী

0
350

খবর ৭১: রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সশস্ত্র বাহিনী থেকে শুরু করে পুলিশ প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবীদের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মিয়ানমারের সাথে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে, যতদ্রুত সম্ভব শরণার্থীদের তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে।

রোববার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রামে নেভাল একাডেমিতে নৌবাহিনীর বার্ষিক কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

সকলকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করতে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিকভাবে উন্নয়নের রোল মডেল এখন বাংলাদেশ। বাঙালি জাতি বিশ্ব দরবারে মর্যাদা অর্জন করেছে। বিশ্বসভায় বাঙালি জাতি যেন সর্বদা বিজয়ী জাতি হিসেবে মাথা উঁচু করে চলতে পারে সেভাবেই সকলের দায়িত্ব পালন করতে হবে।

বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতার স্মৃতি স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ৭ ই মার্চ ভাষণ যখন বঙ্গবন্ধু দিতে যান তখন আমার মা এই পরামর্শ দিয়েছিলেন যে, কারো কথা শোনার প্রয়োজন নেই। সারা জীবন তুমি সংগ্রাম করেছো। তোমার মনে যে কথা আছে সেই কথাই বলবে। ভাষণটি কোনো লিখিত ভাষণ নয়। উপস্থিতভাবেই তিনি ৭ই মার্চ ভাষণটি দিয়েছিলেন। যে ভাষণটি পৃথিবীর আড়াই হাজার বছরের যত সামরিক ও বেসামরিক নেতৃবৃন্দ জনগণকে উজ্জ্বীবিত করার জন্য ভাষণ দিয়েছে তার মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ভাষণ হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আমি এইটুকু বলবো, আমরা এই দেশ স্বাধীন করেছি। দেশকে ভালোবাসতে হবে, দেশকে গড়ে তুলতে হবে, দেশের মানুষকে ভালোবাসতে হবে, বিশ্বসভায় বাঙালি জাতি যেনো সর্বদা বিজয়ী জাতি হিসেবে মাথা উচু করে চলতে পারে সেভাবেই সকলের দায়িত্ব পালন করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী নৌ-সেনাদের উদ্দেশ্যে বলেন, প্রিয় নৌ সদস্যগণ আপনারা এদেশের স্বাধীনতার সার্বভৌমত্ব রক্ষার দায়িত্বে আত্মনিয়োগ করবেন। একটি সুশৃঙ্খল বাহিনীর সদস্য হিসেবে সর্বদা ঊর্ধ্বতনের প্রতি আনুগত ও অধস্তনদের প্রতি সহমর্মিতা প্রদর্শন করবেন। কমান্ড মেনে চলার মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনীকে বিশ্ব দরবারে আরও গৌরবোজ্জ্বল আসনে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হবেন। এই কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে আপনারা যারা কমিশন লাভ করছেন তাদের কলের প্রতি রইলো আন্তরিক শুভেচ্ছা। এবার ২১ জন মহিলা কর্মকর্তা কমিশন পেয়েছে যে আমাদের দেশে নারী ক্ষমতায়নে বিরাট দৃষ্টান্ত। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান বাংলাদেশের রাজনৈতিক অবস্থা বিবেচনায় নৌবাহিনী যে দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সেটা অনুধাবন করতে পেরেছিলেন। ১৯৬৬ সালে ৬ দফা দাবি পেশ করে নৌবাহিনীর হেড কোয়াটার বাংলাদেশে হয়, সে দাবিও পেশ করে ছিলেন। কিন্তু পাকিস্তানি শাসকরা তা মেনে নেয়নি। এখন স্বাধীন দেশে নিজস্ব নৌবাহিনী রয়েছে। নৌবাহিনীকে আধুনিক ও শক্তিশালী করে গড়ে তুলেছি। ২০০৯ সালে সরকার আসার পর আমরা বিশাল সমুদ্রসীমা অর্জন করেছি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here