দেলদুয়ার(টাঙ্গাইল)প্রতিনিধি:
৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী। বয়স বড়জোর ৯ কি ১০। স্বামী, শশুর, শাশুরী সংসার জ্ঞান এখনো হয়নি তার। তবুও বসতে হবে বিয়ের পিড়িতে। পরিবারের সিদ্ধান্ত মানতেই হবে। এরকম একটি বিয়ের আয়োজন চলছিলো বুধবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার আটিয়া ইউনিয়নের মামুদপুর গ্রামে। পিতৃহারা ওই ছাত্রীর বিয়ের আয়োজন করেন তার মা ও চাচা। পিতার অবর্তমানে দশ বছরের শিশুটিকে বোঝা মনে করে চাচা হাফেজ উদ্দিন চেয়েছিলেন বিদায় করতে। কিন্তু বাধ সাধলেন প্রশাসন। বরযাত্রী আসছেন তাই চাচার বাড়িতে মেজবানী আয়োজন। সাজানো হয়েছে রঙ্গীন প্যান্ডেল। রান্না-বান্নাসহ সমস্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন। বর এসে বধূ বেশে তুলে নিয়ে যাবেন শিশুটিকে। এমন সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রতিনিধি সহকারী কমিশনার (ভূমি) পুলিশ নিয়ে হাজির। বেঁচে গেলো শিশুটি বাল্য বিয়ের কবল থেকে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে খবর দেয়া হলো সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানকে। এরকম একটি শিশু বিয়ের খবর চেয়ারম্যান জানতেন না অথবা জানলেও তিনি এরিয়ে গেছেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম মল্লিক তার ইউনিয়নে এরকম একটি বাল্য বিয়ের আয়োজনের জন্য দুঃখ প্রকাশ করলেন।
এ প্রসঙ্গে সহকারী কমিশনার (ভূমি)আকতারুননেছা বলেন, বুধবার বিকালে মামুদপুর গ্রামে ৪র্থ শ্রেণির শিশুকে বিয়ে দেয়া হচ্ছে এমন খবরে সন্ধ্যায় ওই গ্রামে গিয়ে বিয়েটি বন্ধ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে শিশুটির নিরাপত্তাসহ পড়ালেখার খরচ উপজেলা প্রশাসন বহন করবে এমন নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে।
খবর৭১/জি: