খবর৭১:বাংলাদেশ-মিয়ানমারের সম্পর্কে টানাপোড়েনের সময় প্রথমবারের মতো একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছেন মিয়ানমারের সিমান্ত বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। সঙ্গে থাকছেন পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফর প্রধানও।
কাল বুধবার বিজিবি দিবসের কুচকাওয়াজে অংশ নিচ্ছেন তারা। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিজিবি জানায়, বিজিবি দিবস উদযাপন উপলক্ষে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। দিবসের কর্মসূচি অনুযায়ী বিজিবির সদর দপ্তর পিলখানায় সকাল ৮টায় বিবিজির রেজিমেন্টাল পতাকা উত্তোলন করা হবে। সকাল সোয়া ৮টায় ‘সীমান্ত গৌরব’-এ মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবুল হোসেন। সকাল ১০টায় বিজিবি দিবসের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করবেন।
এ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বিজিবিতে বীরত্বপূর্ণ ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বিজিবির কর্মকর্তা ও সদস্যদের পদক প্রদান করবেন। দুপুর ১২টা ২৫ মিনিটে বীর উত্তম ফজলুর রহমান খন্দকার মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রী বিজিবি সদস্যদের দরবার গ্রহণ করবেন।
বিজিবি দিবসের কুচকাওয়াজে মন্ত্রী, উপদেষ্টা, উচ্চ পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা এবং কূটনৈতিক কোরের সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন।
এ সময় ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ)-এর মহাপরিচালক শ্রী কৃষাণ কুমার শর্মার নেতৃত্বে ১৫ সদস্যর প্রতিনিধি দল উপস্থিত থাকবেন। এ ছাড়া মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি)-এর কমান্ডার পুলিশ ব্রিগেডের জেনারেল মায়ইন্ট তোয়ের নেতৃত্বে ছয় সদস্যর প্রতিনিধি দল উপস্থিত থাকবেন।
বিজিবি দিবস উপলক্ষে পিলখানা ছাড়াও ঢাকার বাইরে বিজিবির সকল রিজিয়ন, বর্ডার গার্ড ট্রেনিং সেন্টার অ্যান্ড কলেজ, সকল সেক্টর ও ব্যাটালিয়ন পর্যায়ের মিলাদ ও বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া আনুষ্ঠানিকভাবে রেজিমেন্টাল পতাকা উত্তোলন, কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের উপস্থিতিতে বিশেষ দরবার, বাহিনীর খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা, প্রীতিভোজ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। আগামী বৃহস্পতিবার পিলখানায় বীর উত্তম ফজলুর রহমান খন্দকার মিলনায়তের বিজিবি মহা-পরিচালকের বিশেষ দরবার অনুষ্ঠিত হবে।
দরবার শেষে অনারারী সহকারী পরিচালক হতে অনারারী উপ-পরিচালক পদে পদোন্নতি প্রাপ্তদের র্যাংক ব্যাজ পরিধান, অপারেশনাল কার্যক্রম, চোরাচালান নিরোধ এবং মাদক দ্রব্য আটকের ক্ষেত্রে কৃতিত্বপূর্ণ কাজের জন্য পুরস্কার প্রদান করা হবে।
খবর৭১/জি: