জামালগঞ্জ প্রতিনিধি :
জামালগঞ্জের ফেনারবাক ইউনিয়নের পাগনার হাওরের জলাবদ্ধতা নিরসনে কৃষকরা স্বেচ্ছাশ্রমে পানি নিস্কাসনে কাজ করছেন। গত বৃহ:বার সকাল থেকে ফেনারবাকের বিনাজুড়া,লালপুর,রসুলপুর, লক্ষীপুর, শান্তিপুর, ছয়হারা, ভাটী দৌলতপুর,উজান দৌলতপুর গ্রামের কয়েক শতাধিক কৃষক দিনব্যাপী স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করছেন।
পাগনার হাওরের স্লুইসগেইট গুলোতে পলি মাটি ভরাট হয়ে নদীতে পানি চলাচল কমে যাওয়ায় সঠিক সময়ে পানি নিস্কাসন হচ্ছেনা এর কারনে হাওরে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। জলাবদ্ধতা থাকার কারনে ও গত কদিনের বৃষ্টিতে হাওরের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকরা উৎকন্ঠায়। এরই ধারাবহিকতায় স্থানীয় গ্রামের কৃষকরা বোরো মৌসুমের ফসল ফলাতে নিজ উদ্দ্যোগে স্বেচ্ছা শ্রমে পাগনার হাওরের পশ্চিম দক্ষিন পাড়ের ডালিয়া স্লইস গেইট সংলগ্ন ক্লোজারের নিকট,শমি পুরের সামনের কাড়া,ফুলিয়া টানা সহ কয়েকটি অংশে কাজ করা হয়েছে।
শান্তিপুরের কৃষক আবিদ নূর বলেন,হাওরের জলাবদ্ধতা থাকার কারনে আমরা নিজেরাই পানি নিস্কাসনের কাজে নেমেছি।
ছয়হারা গ্রামের কৃষক রাজেন্দ্র তালুকদার বলেন,আমরা অতীতেও হাওরের বাধে স্বেচ্ছা শ্রমে কাজ করেছি,এবারও পানি নিস্কাসনে কাজ করছি।
ভাটী দৌলতপুরের নিবারন তালুকদার ও বিনাজুড়ার নিরদ সরকার বলেন,আমরা হাওরের বাধের কাজ আর স্বেচ্ছাশ্রমে কত করবো,বার বার আমাদের ফসলহানী হচ্ছে,ফসলের মায়ায় আমরা বাধে পড়ে থাকি।
লক্ষীপুরের কৃষক জাকির হোসেন বলেন,গেল কিছুদিন আগেও আমাদের গ্রাম থেকে কৃষকরা গিয়ে স্চ্ছোশ্রমে কাজ করেছে আজ আমরা গিয়ে পানি নিস্কাসনে দিনব্যাপী কাজ করেছি।
ফেনারবাকের ইউপি সদস্য অজিত সরকার বলেন,আমার ওয়ার্ড সহ আশপাশের আরো কয়েক গ্রামের শতাধিক কৃষক সহ আমি বাধে গিয়েছি,তারা স্বেচ্ছাশ্রমে দিনব্যাপী কাজ করা হয়েছে।
ফেনারবাকের ইউনিয়ন চেয়ারম্যান করুনা সিন্ধু তালুকদার বলেন,হাওরের জলাবদ্ধতা সমস্যা দীর্ঘদিনের,গেল কিছুদিন আগেও হাওরবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করেছে,আজকেও আমার এলাকার কয়েকশত কৃষক পাগনার হাওরের বিভিন্ন বাধে গিয়ে পানি নিস্কাসনে কাজ চলছে
খবর৭১/জি: