খবর ৭১:যৌতুক নামের রসগোল্লা! কেউ বিলায় কেউ লুফে নেয়। বরের যোগ্যতার বিচারে সাধারণত কনে পক্ষ যৌতুক দিয়ে থাকেন। দুঃখের বিষয় এই যে,এই অনিয়ম থেকে আমরা আজও বের হতে পারিনি। সভ্যতার যুগে অসভ্যের মতো কাজ আজও করে যাচ্ছি।
লুফে নেয়া যৌতুকখোরদের মুখে সুখের হাসি,অপরদিকে দায়গ্রস্ত কনে পক্ষের বুকফাটা কান্না,যার বহিঃপ্রকাশ ঘটে মৃদু হাসির মধ্য দিয়ে। কেননা তিলে তিলে বড় করে তোলা কলিজার টুকরা চিরতরে অন্যের হাতে সপে দেয়া হয়। কষ্টার্জিত বা শেষসম্বল বিক্রি করা অর্থাৎ যৌতুকের বিনিময়ে, তবুও মেয়েটি আমার সুখে থাক।
যৌতুক কেউ নিয়ে থাকে নিয়ম নামের অনিয়মানুসারে আবার কেউ কৌশলে কেননা যৌতুকের টাকার ব্যাংক ইন্টারেস্ট থেকে কনের সারা জীবনের খরচ চলে যায়। তারা খেটে যায় স্বামীর সংসারে সুখের আশায়। কেউ সুখের সন্ধান পেলেও ঘাম ঝরাতে হয়। আবার কাউকে সইতে করতে হয় নির্যাতন। অনেকেই ঝরা ফুলের মতো ঝরে যায় স্বামীর সংসার থেকে।
যৌতুক দিয়ে মেয়ে বিয়ে দেয়া অপেক্ষা বিক্রি করা তো ভালোই বলা চলে। এতে করে কিছু টাকা হাতে আসবে আর পুরুষের কাছে মেয়ের মর্যাদা ভালো থাকবে কেননা চড়া দাম দিয়ে কেনা হয়েছে যত্নে রাখতে হবে।
অন্যথায়, আমও যাবে থলেও যাবে। একটু নড়েচড়ে বসলেন,কোনো বিবেকবান মানুষের পক্ষে এ কাজ করা সম্ভব নয় কিন্তু এর চেয়ে জঘন্য কাজ ঠিক-ই করা হচ্ছে, পণ্য দেয়া হচ্ছে সঙ্গে টাকাও। তবুও আপনার কলিজার টুকরা নির্মম নির্যাতনের স্বীকার হচ্ছে স্বামীর সংসারে অথবা যুদ্ধ করে বেঁচে থাকতে হচ্ছে। সবার উচিত যৌতুক দেয়া-নেয়া থেকে বিরত থাকা,সুখী, সুন্দর সংসার গড়া।
খবর ৭১/ ই: