আবু রায়হান, দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) থেকে
বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলায় শীতের আগমনে লেপ কাথা তৈরী করতে ব্যাস্ত হয়ে পরেছে এই শিল্পের সাথে জরিত ধুনকরা। শীতের আগাম বার্তায় তারা হয়ে পরেছে ব্যপক কর্ম উদ্যেগী ও উৎসাহী।
, পুরো উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় লেপ কাথা তৈরীর কারখানা প্রায় দুই শতাধিক এসব কারখানায় সকাল থেকে সুন্ধা পর্যন্ত পরিশ্রম করে আট শতাধিক শ্রমিক শীতার্থদের উষ্ণতার পথ প্রসারিত করতে রাত দিন পরিশ্রম করে যাচ্ছে। বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখা গেছে ক্রেতাদের উপছে পড়া ভিড় কারণ পুরো এলাকায় গত কয়েক দিন হল রাত্রে শীত শীত অনুভব হচ্ছে। যার ফলে ব্যাস্ত হয়ে পরেছে শীতের লেপ কাথার দোকানীরা সেই সাথে ক্রেতারাও।
এক দিকে যেমন ক্রেতা সাধারণ পাচ্ছে শীত লাঘবের উপকরণ অপর দিকে ধুনকররা অতিরোক্ত পরিশ্রম করে কাঙ্খিত অর্থ উপার্যন করতে পারছে।
গত মঙ্গলবার দুপচাঁচিয়া শহরতলা এলাকার আইয়ুব ব্রেডিং এর কারখানায় কর্মরত শ্রমিক লিমন জানায়, গত সপ্তাহ থেকে শীতের লেপ কাথা ও প্রশাক তৈরীতে আমরা ব্যস্ত হয়ে পরেছি। কারণ ক্রেতাদের অর্ডারের লেপ কাথা সময় মত ডেলীভারী দেওয়ার জন্য সকাল থেকে সুন্ধা পর্যন্ত কাজ করেও অর্ডারের কাজ শেষ হচ্ছে না।
পুরাতন বাজারের দুলাল বেডিং এর সত্ত্বাধিকারী আফজাল হোসেন জানায়, আমরা ক্রেতাদের অর্ডার মত লেপ কাথা তৈরী করতে হিমশিম খাচ্ছি। কারণ প্রয়োজনীয় তুলা পাওয়া যাচ্ছে না। আবার তুলা পাওয়া গেলেও শীতের আগমনের কারনে চড়া মুল্যে কিনতে হচ্ছে। ফলে ক্রেতাদের কাধে পড়ছে বাড়তি মূল্যের বোঝা। তার পরও আমরা মান সম্মত লেপ কাথা তৈরী করে ক্রেতাদের চাহিদা পূরণ করছি।
গত কাল উপজেলার পাইক পাড়া গ্রামের আবু বক্কর ছিদ্দিকের মেয়ে সাথী আক্তার উপজেলা রোডের একটি দোকানে শীত নিবারণ সামগ্রী কিনতে এসে জানায়, গত বারের তুলনায় চড়া মূল্য দিয়ে শীত নিবারনের সামগ্রী কিনতে হচ্ছে। একই সময়ে আরেক জন ক্রেতা উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের আব্দুল বাসেদের স্ত্রী পাপিয়া আকতার জানায়, প্রয়োজনীয় তুলা ও কাপর যদি কম মূল্যে পাওয়া যেত তাহলে দোকানীরা আমাদের কাছে শীত নিবারনের সামগ্রীর কম মূল্যে দিত।
এদিকে আবহাওয়া অফিসের সাথে যোগাযোগ করলে জানা যায়, গত মঙ্গলবার পুরো বগুড়া জেলার তাপমাত্রা ২২ ডিগ্রী সেলসিয়াস ছিল। এবার গত বছরের তুলনায় তরিঘরি তীব্র শীত
খবর৭১/এস;