মোঃ জহির রায়হান-সিরাজগঞ্জঃ
সিরাজগঞ্জ জেলা উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত। তাত শিল্প সমৃদ্ধ এই জেলায় বর্তমান সরকারের দুই দফায় যত উন্নয়ন হয়েছে, এমন ব্যাপক উন্নয়ন স্বাধীনতার পর হতে অন্য কোন সরকারের আমলেই হয় নাই এবং সিরাজগঞ্জ সদর –কামারখন্দ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডাঃ হাবীবে মিল্লাত মুন্নাকে সিরাজগঞ্জের উন্নয়নের রুপকার বলে অভিমত প্রকাশ করেছে সিরাজগঞ্জের সুশীল সমাজের ব্যক্তিরা ও সাধারন জনগন।
ক্যাপিটাল ড্রেজিং করে যমুনা নদীর নাব্যতা বৃদ্ধি করে নদী ভাংগন নামক অভিষাপ থেকে মুক্তির ব্যবস্থা করেছেন প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা। বন্ধ হয়ে যাওয়া কওমী জুট মিলকে জাতীয় জুট মিল নামে চালু করে প্রায় চার হাজার লোকের কর্মসংস্থান করা হয়েছে। ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন স্থাপন, ক্যাপ্টেন মুনসুর আলী মেডিক্যাল কলেজ স্থাপন ও সদর হাসপাতালের আসন বৃদ্ধি এবং আধুনিকায়ন করে চিকিৎসা ক্ষেত্রে সিরাজগঞ্জ হয়েছে সমৃদ্ধ। কর্মসংস্থান বৃদ্ধি ও বিনিয়োগকারীদের সহজ বিনিয়োগের দ্বাড়া শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপনের লক্ষ্যে বিসিক শিল্প পার্ক ও বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু হয়েছে । মেরিন একাডেমী প্রতিষ্ঠা করে সিরাজগঞ্জকে জাতীয় ভাবে শিক্ষা সমৃদ্ধ জেলায় পরিনত করা হয়েছে।
যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নের লক্ষ্যে সিরাজগঞ্জ বাজার ষ্টেশন হতে ঢাকাগামী সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে ও ষ্টেশন গুলোকে আধুনিকায়ন করা হয়েছে । সিরাজগঞ্জ- বগুড়া রেলপথ নির্মানের কাজ শুরু হয়েছে। মুলিবারি থেকে চান্দালী মোড় হয়ে নলকা পর্যন্ত রাস্তাকে চারলেনে রুপান্তরের প্রক্রিয়া হাতে নেয়া হয়েছে। বঙ্গবন্ধু সেতুর পাশে আলাদা রেল সেতু স্থাপনের কাজ এগিয়ে
চলছে। সিরাজগঞ্জ শহরের বিনোদনের জায়গা বৃদ্ধির জন্য শেখ রাসেল শিশু পার্ক স্থাপন ও কাটাখালী খাল সংস্কার করে শহরের সৌন্দর্য বৃদ্ধির ব্যবস্থা করা হয়েছে। সাধারন জনগন মনে করেন – আওয়ামী লীগ সরকার তার উন্নয়ন কার্যক্রমের জন্যই আবার ক্ষমতায় আসবে এবং সিরাজগঞ্জ সদর আসনে অধ্যাপক ডাঃ হাবীবে মিল্লাত মুন্না আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে বিপুল ভোটে জয়ী হবেন।
খবর৭১/এস:
