মোঃ জহির রায়হান-সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
সিরাজগঞ্জ জেলার অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ন একটি সংসদীয় আসন ৬৪ , সিরাজগঞ্জ-৩ (রায়গঞ্জ- তাড়াশ সলংগা)। তাড়াশ উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন , সলংগা থানার ৩টি ইউনিয়ন ও রায়গঞ্জ থানার ৯ টি ইউনিয়ন ও সর্বমোট ৫৪৭ টি গ্রাম নিয়ে সিরাজগঞ্জ -৩ আসনটি গঠিত। এর মধ্যে রায়গঞ্জ উপজেলাধীন এলাকার ভোটার সংখ্যা অত্যাধিক। আবার রায়গঞ্জে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিরোধী দল জয়ী হওয়ায় উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দের মধ্যকার গ্রুপিং অনেকটাই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। রায়গঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের কমিটির মেয়াদ পুর্ন হওয়ার পরে নতুন কমিটি গঠন করার জন্য কেন্দ্রীয় সাধারন সম্পাদক চিঠিও পাঠিয়েছে বলে জানা যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতা বলেন, “ রায়গঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন দ্রুত সম্পাদন করে জনদম্পৃক্ত ও জনপ্রিয় ব্যক্তিদের নেতৃত্বে না আনলে আগামী নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের জয়ী হওয়া কঠিন হবে”।
বিভিন্ন সময়ে আলোচিত ও সমালোচিত হওয়ায় বর্তমান সংসদ সদস্য গাজী আমজাদ হোসেন মিলন এর মনোনয়ন পাওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন সচেতন মহল। কিছু দিন পুর্বে টিআর , কাবিখা ও মোবাইলে একজন কর্মীকে হুমকি এবং তাড়াশ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হকের উপর হামলা সর্বশেষ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের অফিসে গিয়ে হামলার বিষয়গুলো নিয়ে বর্তমান সাংসদকে অনেক প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছে । কিছুদিন পুর্বে সিরাজগঞ্জ জেলা আইন শৃংখলা মিটিং এ সাংবাদিকদের নিয়ে কটু কথা বলায় তোপের মুখে পরেছিলেন তিনি। সলঙ্গা থানা আওয়ামীলীগ নিয়েও চলছে অনেক প্রশ্ন । বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সলংগা থানা আওয়ামীলীগের গুরুত্বপুর্ন এক নেতার বিরুদ্ধে নৌকার বিপক্ষে কাজ করা ও ধানের শীষ প্রতীককে বিজয়ী করার অভিযোগ রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ব্যক্তি জানায়- “চাকুরী দেয়ার কথা বলে টাকা নেয়া এমপির পিএস তার বাড়িতে আসতে পারে না কিন্তু ফেসবুকে ঠিকই তার নেতার পক্ষে প্রচারনা চালায় । আমরা এমন কাউকে আর এমপি হিসেবে চাই না – যে কিনা টি আর , কাবিখা মেরে খাবে ও চাকুরী দেয়ার নাম করে টাকা নিয়ে প্রতারনা করবে”।