ফারুক ইফতেখার সুমন, ঈশ্বরগঞ্জ প্রতিনিধি:
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে অষ্টম শ্রেণি পড়–য়া সাব্বিরের এক চোখে আলো নেই, অন্য চোখের আলোও নিভতে বসেছে। ছোট ভাই সাঈম রিউমেটিক ফিবারে আক্রান্ত। দুই ছেলের চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হিমসিম খেতে হচ্ছে দিনমজুর পরিবারটি। এমতাবস্থায় সাব্বির-সাঈমের চিকিৎসা সহায়তার অনুদান দেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি প্রকৌশলী লুৎফুল্লাহেল মাজেদ বাবু।
উপজেলা জাটিয়া ইউনিয়নের মাকরঝাপ গ্রামের আবদুল হেলিমের দুই ছেলে সাব্বির ও সাঈম। সাব্বির চলতি বছর অনুষ্ঠিত জেডিসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। সাঈম পড়ছে চতুর্থ শ্রেনিতে। প্রায় চার বছর ধরে সাব্বিরের বাম চোখের আলো একেবারে নিভে গেছে। বাম চোখের সাথে ডান চোখটির আলো নিভতে শুরু করেছে। চতুর্থ শ্রেণিতে পড়–য়া সাঈম ৫ বছর ধরে বিরল রিউমেটিক ফিবারে আক্রান্ত হয়েছে। দুই ছেলের চিকিৎসা করাতে গিয়ে জমাজমি সব বিক্রি করে দিতে হচ্চে সাব্বিরের পরিবারের। সাব্বির ও সাঈমের চিকিৎসা চলছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে। সাব্বির-সাঈমের বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় তাদের চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরে স্থানীয় সাংবাদিকদের মাধ্যমে পরিবারটিকে দশ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি সমাজ সেবক প্রকৌশলী লুৎফুল্লাহেল মাজেদ বাবু। তিনি পরিবারটিকে চিকিৎসার জন্য আরো সহায়তার আশ্বাস দেন। ঈশ্বরগঞ্জ প্রেসক্লাবে সাব্বির-সাঈম ও তার মা শামছুন্নাহারের হাতে অনুদানের অর্থ তুলে দেন প্রেসক্লাব সভাপতি যুগান্তর প্রতিনিধি আবুল কালাম আজাদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দৈনিক ইত্তেফাক সংবাদদাতা সাইফুল ইসলাম তালুকাদার, দিনকাল প্রতিনিধি ফারুক ইফতেখার সুমন, ইনকিলাব সংবাদদাতা আতাউর রহমান, সমকাল প্রতিনিধি মোস্তাফিজুর রহমান, সংবাদ প্রতিনিধি রেজাউল করিম বিপ্লব প্রমুখ।
খবর৭১/জি;