খবর৭১: একজন শিক্ষক সমাজের অভিভাবক। তার শাসন দর্শনে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। কিন্তু অনেক শিক্ষকই মহান এই পেশার দায়িত্বের ওজনটা মাপতে পারেন না। যেখানে তাদের বিনয়ী, সততা দেখে মানুষের মনের কালিমা দূর হবে, সেখানে তারাই মাঝে মাঝে এমন আচরণ করেন যাতে পুরো শিক্ষক সমাজ কলঙ্কিত হয়।
মাদ্রাসা, স্কুল, বিশ্ববিদ্যালয়য় শিক্ষকদের ঘুষ থেকে শুরু করে ধর্ষণ পর্যন্ত বিভিন্ন ন্যাক্কারজনক কর্মকান্ডের সাথে তাদের সম্পৃক্ত হতে শোনা যায়। সম্প্রতি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গেলো দু’বছরে ১৬৫ দিন ক্যাম্পাসে অবস্থান করে ৯ লাখ ৭৪ হাজার ৪৯৫ টাকা আপ্যায়ন বাবদ ব্যয় করেছেন। যা অস্বাভাবিক ও অগ্রহণযোগ্য।
এবার আরেক শিক্ষক অপকর্ম করে পবিত্র এই পেশাজীবীদের প্রশ্নবিদ্ধ করলেন। পিরোজপুর জেলার মঠবাড়ীয়া উপজেলার ৫৬ নং মঠবাড়ীয়া মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক মইনুল ইসলাম। তার একটি ছবি এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল। ছবিটিতে দেখা যায় একজন নুয়ে থাকা বৃদ্ধের ঘাড়ে আয়েশে বসে মুঠোফোনে কথা বলার ভঙ্গিতে আছেন মানুষরুপী এই নির্বোধ প্রাণী।
ভাইরাল হওয়া ছবিটি মূলত নেতিবাচক দৃষ্টিকোণ থেকেই দেখছে মানুষ। ছবির সঙ্গে বিস্ফোরক মন্তব্য লিখে পোস্ট করছেন অনেকে। বিশেষ করে গত বৃহস্পতিবার (২৫ মে) বিকেল থেকে ছবিটি ছড়িয়ে পড়তে থাকে।
এই ছবির নিচে একই স্কুলের একজন শিক্ষক লিখেন, ‘এ কাজ যা দুনিয়ার কোন সভ্যমানুষ করতে পারে না। শিক্ষকরুপী এই অমানুষের কাছ থেকে জাতি কি আশা করতে পারে?’
এদিকে প্রধান শিক্ষক মাইনুল ইসলাম বলছেন ভিন্ন কথা। তার মতে ‘ছবির লোকটি আমি নই। আমার চেহারার সঙ্গেও কোনো মিল নেই। আমি সাদাসিদে মানুষ। আমি কেন মানুষের দুশমন হয়ে গেলাম বলতে পারি না।’
মাইনুল ইসলাম আরও বলেন, ‘ ঘর থেকে বের হতে পারছি না। আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী, স্কুলের সহকর্মী থেকে শুরু করে কোথাও আমি মুখ দেখাতে পারবো না। অন্যের এই ছবিকে আমার নামে চালিয়ে দেওয়ার বিচার আল্লাহ নিশ্চয়ই করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ছবিটি দেখে আমি নিজেই হতভম্ব হয়ে পড়ি। আমার চেহারার সঙ্গে কিছুটা মিলে। তবে চুলের স্টাইল থেকে শুরু করে আরও কিছু জায়গায় অমিল রয়েছে। কিন্তু ওখানে যখন আমার নামটিই দেখি, তখন আর নিজেকে ঠিক রাখতে পারিনি।’
এরপর মাইনুল মঠবাড়িয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি দায়ের করেন। দুয়েকদিনের মধ্যে ঢাকায় এসে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা দায়ের করবেন বলেও তিনি জানান।
এদিকে সবাই বলছেন সত্য যেটাই হক এভাবে একজন বৃদ্ধেরে উপর বসে থাকা অন্যায়। তিনি মাইনুল ইসলাম বা অন্য যেই হন না কেন তাকে খুঁজে শাস্তি দেয়া হক।
খবর৭১/জি;