খবর ৭১:দেশের মানুষের মাঝে সাড়া জাগিয়েছেন যে দুইজন কবি তাদের মধ্যে কবি ফররুখ আহমদ অন্যতম। তার কবিতা পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত ছিল। কিন্তু কুপমুন্ডুকতায় ভোগা শাসকেরা আবার তা পাঠ্যপুস্তক থেকে সরিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া।
তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের কবি, গণমানুষের কবি ফররুখ আহমদ। তার কবিতায় বাংলাভাষা ও বাংলাদেশের মানুষের জীবনচিত্র অসাধারণভাবে ফুটে উঠেছে। তাঁর কবিতায় তিনি তুলে এনেছেন বাংলার শেকড় ও সংস্কৃতি।
বৃহস্পতিবার নয়াপল্টনস্থ যাদু মিয়া মিলনায়তনে ‘জাগরনের কবি ফররুখ আহমেদের ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ভাসানী সাহিত্য-সাংস্কৃতিক পরিষদ আয়োজিত স্মরণ সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্যে এ কথা বলেন।
পরিষদের আহ্বায়ক মতিয়ারা চৌধুরী মিনু’র সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহন করেন ন্যাপ যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ শাহজাহান সাজু, সম্পাদক মোঃ কামাল ভূইয়া, নগর সদস্য সচিব মোঃ শহীদুননবী ডাবলু, যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম, জাতীয় ছাত্রকেন্দ্রের সমন্বয়কারী সোলায়মান সোহেল, যুব ন্যাপ যুগ্ম সমন্বয়কারী আবদুল্লাহ আল কাউছারী, পরিষদের রিভা আক্তার, ফাতেমা আক্তার মনি প্রমুখ।
গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া বলেছেন, কবি ফররুখ ছিলেন গণজাগরণের কবি। তিনি মানুষের মধ্যে চেতনাবোধ তৈরি করে গেছেন। স্বাধীনতা, সাম্য ও মুক্তির চেতনা। আজকে কবিদের মধ্যে সেই জাগরণ নেই। দেশের মানুষের কথা বলার স্বাধীনতা নেই। চলাফেরার স্বাধীনতা নেই। কিন্তু কবি-সাহিত্যিকেরা নীরবতা পালন করছেন। ফররুখ বেঁচে থাকলে অবশ্যই জাগরণের কথা বলতেন।
সভাপতির বক্তব্যে মতিয়ারা চৌধুরী মিনু বলেছেন, জাতীয় ইতিহাসের বিভিন্ন স্তরে মানব সমাজের প্রয়োজন অনুসারে বিভিন্ন প্রতিভার জন্ম হয়। ফররুখের আবির্ভাবও একটি ঐতিহাসিক পটভূমিতে। উপমহাদেশের পাকিস্তান আন্দোলনের পটভূমিতে বাংলা সাহিত্যে রেনেসাঁ আন্দোলনের সূচনা।
খবর ৭১/ ই: