দেলদুয়ার(টাঙ্গাইল)প্রতিনিধি:
টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে বিদ্যুতের অসহনীয় লোডশেডিং শুরু হয়েছে। এতে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেছে জনজীবন। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের দাবী জানিয়েছেন ভূক্তভোগীরা। মুহুর্তে মুহুর্তে আসা-যাওয়া। আবার একটানা কয়েক ঘন্টা না থাকা। বিদ্যুতের এমন লুকোচুরি খেলায় ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন এলাকার ব্যবসায়ীরা। বিশেষ করে ফটোষ্ট্যাষ্ট ও ইন্টারনেট ব্যবসায়ীরা লোকসান গুনছেন প্রতিনিয়ত। ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন গ্রাহকরা। এমনতিই পল্লী বিদ্যুতের দেলদুয়ার জোনাল অফিসে দালাল ও অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর দৌরাত্মে অতিষ্ঠ গ্রাহক। তার উপর লোডশেডিংয়ের বিড়ম্বনা। শিগগিরই এর অবসান না হলে ফুঁসে উঠবে ভুক্তভোগীরা। মৌলভীপাড়া বাজারে ইন্টারনেট ব্যবসায়ী মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, বেশ কিছু দিন ধরে বিদ্যুতের ব্যাপক লোডশেডিং চলছ। এতে কম্পিউটারে কাজ করতে পারছি না। এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে ব্যবসা ধরেছি। লোডশেডিংয়ের কারনে ব্যবসায় ধস নেমেছে। ঋণের বোঝা দিন দিন বাড়ছে।
এব্যাপারে দেলদুয়ার জোনাল অফিসের ডি.জি.এম বিপ্লব কুমার সরকার জানান, দেলদুয়ারে ৫৬ হাজার গ্রাহককে নিরবচ্ছিন্ন সুবিধা দিতে ১১ মেগাওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন। কিন্তু জাতীয় গ্রিড থেকে সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ৫-৬ মেগাওয়ার্ট। গ্রিড থেকে বিভিন্ন ফিডারে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবাহ না আসায় লোডশেডিং দিতে হচ্ছে। মাঝে মধ্যে গ্রিড থেকে সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। তখন আমাদের কিছুই করার থাকে না। সহসাই এ সমস্যার সমাধান হবে না। তবে চেষ্টা চলছে ফিডারে বিদ্যুৎ সরবরাহ বাড়ানোর। এটা হলে লোডশেডিংয়ের বিড়ম্বনা আর থাকবে না।
খবর৭১/এস: