মোঃ আব্দুল হালিম, ফুলবাড়ীয়া (ময়মনসিংহ)প্রতিনিধি: চরঘাঘড়া গ্রামের সেই মাদ্রাসা ছাত্রী রাবেয়াকে স্বামীসহ পাঁচবন্ধু মিলে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করেছে বলে স্বীকার করেছে গ্রেফতারকৃত ৪ আসামী।
হত্যার পর হাত পাঁ বেঁধে বস্তায় ভরে মোটরসাইকেলে করে গভীর রাতে লাশ ফেলে রেখে যায় ফুলবাড়ীয়া ময়মনসিংহ সড়কে দেওখোলা কালিবাজাইল নামক স্থানের একটি পুকুরে। গত দুই দিনে গ্রেফতারকৃত তিন আসামী আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) আবুল খায়ের গত দুই দিন নারায়গঞ্জ, জামালপুর,গাজিপুর ও ময়মনসিংহ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় অভিযান চালিয়ে জামালপুর সদর থেকে মেহেদি হাসান ,দেওয়ানগঞ্জ থেকে রায়হান চৌধুরী, ও মুক্তাগাছা উপজেলা থেকে শরিফুল ইসলামকে গ্রেফতার করেন।
পুলিশ জানায়, গ্রেফতারকৃত আসামীরা শনিবার আদালতে স্বাীকারউক্তি মুলক জবানবন্দি দিয়েছেন গত ১০ সেপ্টেম্বের রাতে ময়মনসিংহ আকুয়া এলাকায় স্বামী মাসুমের ভাড়া বাসার চারতলায় ৫ বন্ধু মিলে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে। হত্যার পর রশি দিয়ে হাতপা বেঁধে সাদা একটি বস্তায় লাশ ভরে গভীর রাতে মোটরসাইকেলে করে লাশ ফেলে রেখে যায় ফুলবড়ীয়ার কালিবাজাইল গ্রামের একটি পুকুরে।
১১ সেপ্টেম্বর ফুলবাড়ীয়া থানা পুলিশ উপজেলা কালিজাবাইল গ্রামের একটি পুকুর থেকে বস্তাবন্দি অজ্ঞাত যুবতীর লাশ উদ্ধার করার পর থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়। দুদিন পর সনাক্ত হয় লাশের। অজ্ঞাত যুবতী ময়মনসিংহ সদর চরঘাঘড়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের কন্যা সদরের আলিয়া মাদ্রাসার ছাত্রী রাবেয়া খাতুন (২৩)।
মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) আবুল খায়ের জানান, রাবেয়া হত্যার ঘটনার সাথে জড়িত ৫ জনের মধ্যে গ্রেফতারকৃত স্বামী মাসুমসহ ৪ জন আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছে। অন্য আরেক জন আসামী দ্রুত গ্রেফতার করা হবে।
খবর ৭১/ এস: