মঈনুল হাসান রতন হবিগঞ্জ প্রতিনিধি :শায়েস্তাগঞ্জ থানার পার্শ্ববর্তী উচাইল শংকরপাশা শাহী জামে মসজিদ হবিগঞ্জ জেলায় অবস্থিত একটি প্রাচীন মসজিদ, যা পঞ্চদশ শতাব্দীতে নির্মিত।এই শাহী মসজিদটি সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার রাজিউয়া ইউনিয়নের শংকরপাশা গ্রামে অবস্থিত। উৎকীর্ণ শিলালিপি থেকে জানা যায় যে, ১৫১৩ সালে নির্মাণ কাজ সমাপ্ত হওয়া এই মসজিদটি নির্মাণ করেন সুলতান আলাউদ্দিন হোসেন শাহের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মজলিশ আমিন; মসজিদের পাশেই আছে তার মাজার। কালের বিবর্তনে এক সময় মসজিদ সংলগ্ন এলাকা বিরান ভূমিতে পরিণত হয়ে জঙ্গলবেষ্টিত হয়ে পড়লেও পরবর্তীকালে এলাকায় জনবসতি গড়ে উঠলে বের হয়ে আসে মসজিদটি। এটি একটি এক চালা ভবন। ভবনটি দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ একই মাপের, যা ২১ ফুট ৬ ইঞ্চি। এর সম্মুখের বারান্দাটির প্রস্থ তিন ফুটের সামান্য বেশি। এতে চারটি গম্বুজ রয়েছে; মূল ভবনের উপর একটি বিশাল গম্বুজ এবং বারান্দার উপর রয়েছে তিনটি ছোট গম্বুজ। মসজিদটিতে মোট ১৫টি দরজা ও জানালা রয়েছে যা পরস্পর সমান আকৃতির প্রায়। পূর্ব-উত্তর-দক্ষিণ এই তিন দিকের দেয়ালের পুরুত্ব প্রায় পাঁচ ফুট এবং পশ্চিমেরটি প্রায় দশ ফুট। এতে মোট ছয়টি কারুকার্য শোভিত স্তম্ভ আছে প্রধান কক্ষের চারকোণে ও বারান্দার দুই কোণে। উপরের ছাদ আর প্রধান প্রাচীরের কার্নিশ বাঁকানোভাবে নির্মিত। মসজিদের দক্ষিণ পার্শ্বে একটি বড় দীঘি রয়েছে। মসজিদের ভেতর ও বাইরের দেয়াল নিখুঁত কারুকার্য খচিত যা বর্তমান সময়ে বিরল। বর্তমানে এলাকাবাসী আশপাশের ঝোপঝাড় কেটে পরিষ্কার করে চারপাশে বাহারী পাতাবাহার গাছ লাগিয়েছেন। প্রতিদিন এখানে ৫ ওয়াক্ত নামাজ হয়। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যটকরা এসে মসজিদটি দেখে যান। এ ছাড়া শহরের আদলে এখানে মুসল্লীদের জন্য ওযুখানার ব্যবস্থা রয়েছে।মসজিদ দেখতে আসা পর্যটকদের অভিযোগ মসজিদের গাঁ ঘেসে লাগানো বারান্দার জন্য এর সৌন্দর্য্য অনেকটাই ম্লান হয়ে পড়েছে।
খবর ৭১/ ই: