ইবি প্রতিনিধি:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ২০১৪ সালের ২৪ আগস্ট। দুপুর পৌনে বারোটায় ফিলিস্তিনে ইসরাইলী হামলার প্রতিবাদে মিছিল করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা শিবির। এরই প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল বের করে ছাত্রলীগ। কিন্তু পুলিশ শিবিরের মিছিল প্রতিহত না করে উল্টো ছাত্রলীগের মিছিলে নির্বিচারে গুলি বর্ষণ করে। এতে ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি শাহিনুর রহমানসহ ২৫ নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ক্যাম্পাস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধও হয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্যাম্পাসে চলছে ব্যাপক সমালোচনা। সেদিনের গুলির প্রকৃত নির্দেশদাতা কে? তা নিয়ে ধুম্র জালও সৃষ্টি হয়েছে।
পুলিশ ছাত্রলীগের উপর গুলি করায় তৎকালীন প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমানের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। ছাত্রলীগের দাবি ছিল, প্রক্টর শিবিরের সাথে আঁতাত করে ছাত্রলীগকে ক্যাম্পাস ছাড়া করতে গুলির নির্দেশ দিয়েছেন। ছাত্রলীগের ১৬ দিন আন্দোলনে দাবির মুখে ৯ সেপ্টেম্বর পদত্যাগ করতে বাধ্য হয় প্রক্টর।
পুরানো সেই ঘটনাটি নিয়েই নতুন করে ক্ষোভে ফুঁসছেন ছাত্রলীগসহ প্রগতিশীল শিক্ষকরা। তাদের দাবি সেদিন ছাত্রলীগের মিছিলে গুলির নির্দেশ দাতাকে খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা।
সেদিনের ঘটনায় আহত এবং বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক কমিটির এক সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন,‘সেদিন পুলিশ ছাত্রলীগের উপর নির্বিচারে গুলি করে। ওই দিনের ঘটনা ছিল খুবই ন্যাক্কারজনক। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে সেদিনের মূল ষড়যন্ত্রকারীকে খুঁজে বের করা সময়ের দাবি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে তৎকালীন এবং বর্তমান প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান বলেন, ‘মিমাংসিত একটি বিষয় নিয়ে মন্তব্য করা ঠিক হবে না।’
সেদিনের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করে মূল ষড়যন্ত্রকারীকে খুঁজে বের করে কঠিন শাস্তির দাবি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের তৎকালীন যুগ্ম আহবায়ক আবু যর গিফারী গাফ্ফার।
বিষয়টি আরও খতিয়ে দেখার আহ্বান জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রগতিশীল শিক্ষক সংগঠন শাপলা ফোরাম ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের একাধিক নেতা।