ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলারের সঙ্গে আগামী নির্বাচন ও অর্থনৈতিক ইস্যুতে গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, দেশ-বিদেশে একটা বিষয় সবার মধ্যে কাজ করছে—কবে নির্বাচন হবে।
কবে দেশে গণতান্ত্রিক অর্ডার ফিরে আসবে। বর্তমানে দেশে একটা সরকার আছে, কিন্তু গণতান্ত্রিক অর্ডার তো এখনো ফিরে আসেনি। জনগণ সমর্থিত সরকার ব্যতীত কোনও প্রশাসন তাকে সমর্থন দিতে চায় না, সেটা তো আমরা এখন লক্ষ্য করছি। বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) গুলশানে বিএনপির চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে মিলারের সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উপস্থিত ছিলেন।
আমির খসরু বলেন, সবাই মনে করে জনগণের সমর্থিত একটা সরকার ও সংসদ থাকবে যেটা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে। সেটা হলে দেশের অনেকগুলো সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। সে জন্য আলোচনায় এই বিষয়টা গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনের সময় নিয়ে কোনও আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে আমির খসরু বলোন, সবাই তো ধরে নিয়েছে ডিসেম্বরে পরে যাওয়ার কোনও সুযোগ নেই। অনেকের মতে ডিসেম্বর অনেক দেরি, তারপর ডিসেম্বর শেষ সময় ধরে নিয়েছে। ডিসেম্বরে মধ্যে নির্বাচন হলে আমরা সঠিক পথে থাকবে, গণতান্ত্রিক অর্ডার ফিরিয়ে আনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, বর্তমান বাংলাদেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও বৈদেশিক সম্পর্ক এবং অবস্থান নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। রাজনীতি ক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবে যেটা আলোচনা হয়েছে, সেটা হলো আগামী নির্বাচন। সংস্কারের ব্যাপারে সবগুলো বিষয় নিয়ে যে ঐক্যমত কমিশন হয়েছিল সেগুলা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, সংস্কারের ব্যাপারে যেসব বিষয়ে সব রাজনৈতিক দলের মধ্যে ঐক্যমত হবে সেগুলোকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যাবো। আর যেসব বিষয়ে দ্বিমত তৈরি হবে সেগুলা নিয়ে আগামী নির্বাচনে সবাই জনগণের কাছে নিয়ে যাবে। এরপর সংসদে আলোচনা, তর্ক বির্তক হবে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের রপ্তানির বড় জায়গা বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেখানে আগামী দিনে কী হবে, বিএনপির পরিকল্পনা কী, এসব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আগামী রোববার বিএনপির সংস্কারের প্রস্তাবের মতামত ঐক্যমত কমিশনের কাছে জমা দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।