শান্তিতে নোবেলজয়ী সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার চিরবিদায় নিয়েছেন। ঠিক ঠিক এক শ বছর পূরণ করে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় রোববার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলে জর্জিয়ার প্লেইনসে নিজ বাড়িতে মারা যান জিমি কার্টার। তার গড়ে তোলা কার্টার সেন্টারের পক্ষ থেকেই এ তথ্য গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করা হয়েছে।
মার্কিন গণমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়, একসময় চিনাবাদাম কৃষক ছিলেন জিমি কার্টার। ১৯২৪ সালের ১ অক্টোবর জন্ম তার। গত অক্টোবরেই তার শততম জন্মদিন উদ্যাপন করে যুক্তরাষ্ট্র। ইতিহাসের যেকোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের চেয়ে তিনি বেশি দিন বেঁচে ছিলেন।
১৯৭৭ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন জিমি। ওই সময় ব্যাপক অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সংকটের মধ্যে ছিল যুক্তরাষ্ট্র। জিমি কার্টারের বলিষ্ঠ নেতৃত্ব সেই সংকট কাটাতে যথেষ্ট ভূমিকা রেখেছে।
বিবিসির খবরে বলা হয়, জনপ্রিয়তা হারিয়ে হোয়াইট হাউজ ত্যাগ করতে হয়েছিল জিমি কার্টারকে। কিন্তু নানা ধরনের মানবিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে ছিলেন তিনি। ফের জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন সবার মধ্যে। আর তারই স্বীকৃতি হিসেবে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার জয় করে নেন এই সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
আর কদিন পরে বিদায় নেবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তার ভাষায়, জিমি কার্টার ছিলেন ‘অসাধারণ এক নেতা’।
জিমি কার্টারের ছেলে চিপ কার্টার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমার বাবা একজন বীর ছিলেন। কেবল আমার কাছে নয়, শান্তি, মানবাধিকার ও নিঃস্বার্থ ভালোবাসায় বিশ্বাসী সবাই তাকে বীর হিসেবে দেখেন।
চিপ কার্টার আরও লিখেছেন, ‘তিনি (জিমি কার্টার) মানুষকে একত্রিত করেছিলেন। তার উদ্যোগে পুরো বিশ্বই আমাদের পরিবার হয়ে ওঠে। এই ঐক্য ধরে রেখে সবাই তার স্মৃতিকে যেভাবে সম্মান জানিয়েছে, তার জন্য আমরা আপনাকে ধন্যবাদ জানাই।’