বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান ও ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রমাণ করেছেন তার সহকর্মী তার সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা, তার দল জীবন দিয়ে দেশের সর্বভৌমত্ব রক্ষা করেছে। দেশের গণতন্ত্র রক্ষায় আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। দেশের স্বাধীনতা রক্ষা করছে।
আজ রবিবার গেন্ডারিয়ায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা জাসাস ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও শীতবস্ত্র বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে গেন্ডারিয়া থানা জাসাস।
দুদু বলেন, বিএনপি গরিব, মধ্যম শ্রেণীর, সকল শ্রেণীর দল। এই দল কষ্টের সময় যেমন মানুষের পাশে থাকে তেমনি আনন্দের সময়ও পাশে থাকে। এই দল ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দীর্ঘ ১৬-১৭ বছর আন্দোলন করেছে। এই আন্দোলন করতে গিয়ে জাসাস, যুবদল, ছাত্রদল, মুক্তিযোদ্ধা দলসহ বিএনপির অঙ্গ সংগঠন এর নেতৃবৃন্দ-কর্মীরা নির্যাতন, জেল-জুলুম, গুমের শিকার হয়েছে। অসংখ্য মানুষ আহত, নিহত হয়েছে। দীর্ঘ ১৬ বছরের আন্দোলন সংগ্রাম শেষ এক মাসে পরিসমাপ্তি হয়েছে ছাত্র-জনতার যে লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে। সেই লড়াইয়ে মানুষ মুক্ত হয়েছে। যারা আহত হয়েছে, নির্যাতনের শিকার হয়েছে এবং যারা শহীদ হয়েছে তাদের জন্য দোয়া করি আল্লাহ যেন তাদেরকে বেহেশত নসিব করেন।
তিনি বলেন, রাজনীতি মানে স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমানের যে আকুল আবেদন। সেই আবেদনটা হচ্ছে গণতন্ত্রের স্বপক্ষের লড়াই, স্বাধীনতা রক্ষার লড়াইয়ে থাকতে হবে লড়াই করতে হবে। কারণ এই লড়াইটা হচ্ছে বিএনপি’র লড়াই।
ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, আজ এখানে দাঁড়িয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা ঢাকার মেয়র সাদেক হোসেন খোকার কথা মনে পড়ছে। এছাড়াও অনেক বন্ধু-বান্ধবদের কথা মনে পড়ছে। তারা পরকালে পাড়ি জমিয়েছেন আল্লাহ তাদের বেহেশত নসিব করুন। তারপরও আমাদের এই দলটাকে শক্ত করে অতীতের মতো আঁকড়িয়ে ধরে রাখতে হবে।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা করেছিলেন। রণাঙ্গনের যুদ্ধ করেছেন। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তার সম্পর্কে আপনাদের কাছে বলে লাভ নাই। কারণ আপনারা তার সাথে থেকে স্বৈরাচার এরশাদকে পতন ঘটিয়েছেন। তারেক রহমানকে দীর্ঘ ১৭ বছর দেশে আসতে দেয়নি। বিদেশে থাকতে বাধ্য করেছে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা। তিনি প্রমাণ করেছেন বাংলাদেশে বিএনপি সর্ববৃহৎ দল। তিনি প্রমাণ করেছেন তার সহকর্মী তার সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা, তার দল জীবন দিয়ে দেশের সর্বভৌমত্ব রক্ষা করেছে। দেশের গণতন্ত্র রক্ষায় আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। দেশের স্বাধীনতা রক্ষা করছে।
জাসাস নেতৃবৃন্দদের উদ্দেশ্যে কৃষকদলের সাবেক এই আহ্বায়ক বলেন, জাসাসের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। গরিব মানুষদের এই সাহায্য এটাই শেষ নয়। চলমান থাকবে। কারণ বিএনপিসহ তার অঙ্গ সংগঠনগুলো সব সময় গরীব মানুষের পাশে থেকেছে, থাকবে। গেন্ডারিয়া থানা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের, গেন্ডারিয়া থানা মহিলা দলের সভানেত্রী হাসি, জাসাসের দপ্তর সম্পাদক মেহেদী হাসান, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রাজী, বিএনপির নেতা জাফর, শরিফুল, মকবুল হোসেন, সোহাগ সহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।