বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজে এক নারী যাত্রীর সিটের নিচে বিশেষ কৌশলে লুকিয়ে রাখা ২ কেজি ৩২০ গ্রাম স্বর্ণের বার উদ্ধারের ঘটনায় হাজার কোটি টাকা দামের বিমানটি জব্দ করেছে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. বিল্লাল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, চোরাচালানের স্বর্ণ পরিবহন করায় উড়োজাহাজটিও অভিযুক্ত। তাই স্বর্ণের বারগুলো আটকের পাশাপাশি ফ্লাইট নম্বর বিজি১৪৮ (বোয়িং ৭৭৭-ইআর, রেজি নম্বর এস২-এএফকিউ) উড়োজাহাজটিকেও কাস্টমস আইন ২০২৩ অনুযায়ী আটক করা হয়েছে।
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বাস্তবে যাত্রীবাহী একটি উড়োজাহাজ বিমানবন্দরে আটক রাখার সুযোগ নেই। তদন্তের সুবিধার্থে উড়োজাহাজটি আটক দেখানো হয়েছে। যখনি আনতে বলা হবে তখন এটি আনবে কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল জানান, বাংলাদেশ বিমানের বিজি-১৪৮ ফ্লাইটটি দুবাই থেকে এসে সকালে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফ্লাইটে তল্লাশি চালায় জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা (এনএসআই), শুল্ক গোয়েন্দা ও বিমানবন্দর নিরাপত্তা শাখার সদস্যরা। তল্লাশির সময় ৯-জে নম্বর যাত্রী আসনের নিচে টেপ দিয়ে মুড়িয়ে বিশেষ কৌশলে রাখা ২০টি স্বর্ণের বার পাওয়া যায়। জব্দ করা ২৪ ক্যারেটের স্বর্ণের বারগুলোর ওজন দুই কেজি ৩২০ গ্রাম। যেগুলোর বাজার দর প্রায় দুই কোটি ৬০ লাখ টাকা।
শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন শেখ আব্দুল্লাহ আলমগীর বলেন, শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমানের ফ্লাইটে স্বর্ণের বার উদ্ধারের পর প্লেনটি ১০টা ৫২ মিনিটে ঢাকা চলে গেছে।
কাস্টম গোয়েন্দা বিভাগ জানিয়েছে, প্লেনটি কাগজে-কলমে জব্দ করা হয়েছে। এটি বিমানকে জবাবদিহির আওতায় আনার অংশ। কারণ বিমানে সিটের নিচে স্বর্ণ লুকানো যাত্রীর পক্ষে সম্ভব না। এ ঘটনায় বিমানের কেউ ছিল কিনা, বিমানের ভেতরের ক্যামেরার ফুটেজ, সিকিউরিটি ইত্যাদি জবাবদিহির আওতায় আনার জন্য অফিশিয়ালি জব্দ দেখানো হয়েছে। উড়োজাহাজটি যাত্রী পরিবহনে বাধা নেই।
এর আগে স্বর্ণ চোরাচালানের ঘটনায় শাহজালালে বিমান জব্দ করা হলেও শাহ আমানতে এবারই প্রথম।