ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথির সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে শনিবার ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন সামরিক বাহিনীর এক এক্স বার্তায় ইয়েমেনের রাজধানী সানায় হুথি ঘাঁটিতে ওই হামলার দাবি করা হয়েছে।
মার্কিন সামরিক বাহিনী বলেছে, সানায় হুথিদের ক্ষেপণাস্ত্র গুদাম, কমান্ড ও কন্ট্রোল সেন্টারকে নিখুঁত নিশানা করা হয়েছে।
ইসরায়েলের বাণিজ্যিক নগরী তেলআবিবে হুথি বিদ্রোহীদের হামলায় কয়েকজন আহত হওয়ার পর সানায় পাল্টা ওই হামলা চালানো হয়েছে।
এর আগে, তেলআবিবে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান-সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরা। হামলায় অন্তত ১৬ জন ইসরায়েলি আহত হয়। এ নিয়ে তেলআবিবে গত দু’দিন ধরে দফায় দফায় হামলা চালিয়েছে হুথিরা।
ইয়েমেনি এই বিদ্রোহী গোষ্ঠীর পরিচালিত টেলিভিশন চ্যানেল আল-মাসিরাহ বলেছে, সানার আত্তান জেলায় হুথির সামরিক স্থাপনায় আগ্রাসন চালিয়েছে পশ্চিমা বাহিনী। এর পরপরই মার্কিন সামরিক বাহিনী লোহিত সাগরের আকাশে হুথিদের একাধিক ড্রোন ও জাহাজ-বিধ্বংসী ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রে গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।
গাজা উপত্যকায় গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার জবাবে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে নভেম্বর থেকে লোহিত সাগর এবং এডেন উপসাগরে চলাচলকারী বাণিজ্যিক জাহাজগুলোতে হামলা চালিয়ে আসছে হুথি বিদ্রোহীরা।
প্রথম দিকে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কিত জাহাজগুলোতে হামলা চালালেও বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং অন্যান্য বাণিজ্যিক জাহাজেও হামলা চালাচ্ছে এই গোষ্ঠীটি।
গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের প্রতিবাদে গত বছরের ১৯ নভেম্বর থেকে এডেন উপসাগর ও লোহিত সাগরে চলাচলকারী বাণিজ্যিক জাহাজে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করে হুথি বিদ্রোহীরা।
ইয়েমেনের সর্বাধিক জনবহুল এলাকার নিয়ন্ত্রণকারী এই গোষ্ঠীর অনবরত হামলায় বৈশ্বিক পণ্য পরিবহনের অন্যতম প্রধান এই জলপথে ব্যাপক সংকট তৈরি হয়েছে।
হুথিদের একের পর এক জাহাজে হামলার জবাবে মার্কিন ও ব্রিটিশ সামরিক বাহিনী প্রায়ই হুথিদের অবস্থানে হামলা চালাচ্ছে। শনিবারও ইয়েমেনের সশস্ত্র এই গোষ্ঠীর লক্ষ্যবস্তুতে নতুন করে হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে, ইসরায়েলে শনিবারের হামলার দায় স্বীকার করে হুথি বিদ্রোহীরা। তারা বলেছে, ইসরায়েলি একটি সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে।