জাতীয় দলের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের চাকরি অনেকদিন ধরেই সুতায় ঝুলছে। ফারুক আহমেদ বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পরই তার চাকরিটা যাওয়ার কথা ছিল। তবে পাকিস্তান সিরিজে দল ভালো করায় সে যাত্রায় বেঁচে যান হাথুরু। ভারত সিরিজে জঘন্য পারফর্মেন্স জন্য ঝুলে ছিলো তার বিদায়ের ঘন্টা। অবশেষে চুক্তির মেয়াদ শেষের আগেই তাকে একটি শোকজ লেটার পাঠিয়েছে বিসিবি। আজ আনুষ্ঠানিক এক সংবাদ সম্মেলনে হাথুরুসিংহেকে শোকজ এবং সাসপেন্ড করার ঘোষণা দেন বিসিবির নতুন সভাপতি ফারুক আহমেদ।
সংবাদ সম্মেলনে ফারুক বলেন, ‘বরখাস্ত করার আগে আমরা তাঁকে নিয়ম মেনে শোকজ নোটিশ করেছি। ৪৮ ঘণ্টার জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে তাঁকে। এরপর আমরা বরখাস্ত করব। চ্যাম্পিয়নস ট্রফি পর্যন্ত কোচ ফিল সিমন্স।’
২০২৩ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে বাংলাদেশের কোচ হয়ে আসেন শ্রীলঙ্কার কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। ৩৫ হাজার ডলারে তার সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে। যে চুক্তির মেয়াদ ছিল ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। তার বিরুদ্ধে চুক্তির শর্ত ভঙ্গেরও অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে ৪৫ দিন ছুটির বিপরীতে প্রথম বছরে ৬৭ দিন এবং দ্বিতীয় বছরে ৫৯ দিন ছুটি কাটিয়েছেন এই কোচ। এছাড়া জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের গাঁয়ে হাত তোলা নানা ইস্যু নিয়েই তার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।
ফারুক আহমেদ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘বর্তমান কোচের ব্যাপারে আমরা চেষ্টা করছিলাম মানিয়ে নিতে। দুই-তিনটা ঘটনা ঘটেছে। ইচ্ছে মতো ছুটি কাটানো, জাতীয় দলের খেলোয়াড়ে গায়ে হাত তোলার মতো ঘটনা কোনওভাবেই এটা দলের জন্য ভালো উদাহরণ ছিল না। তাই তাকে ৪৮ ঘণ্টার শোকজ ও সাসপেনশন দেওয়া হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই এটা স্থায়ী হয়ে যাবে।’