বেশ কিছু দিন ধরে নিত্যপণ্য ডিমের বাজারে চলছে অস্থিরতা। হু হু করে বাড়ছে পণ্যটির দাম। এই অবস্থায় উৎপাদক, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে মুরগির ডিমের নতুন দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। আগামীকাল বুধবার (১৬ অক্টোবর) থেকে এই দর কার্যকর হবে।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে ডিম উৎপাদক এবং সরবরাহকারীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে ভোক্তা অধিদফতরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান ডিমের নতুন দাম নির্ধারণের কথা জানান।
ভোক্তার ডিজি জানান, বুধবার থেকে উৎপাদক পর্যায়ে ১০ টাকা ৯১ পয়সা, পাইকারিতে ১১ টাকা ১ পয়সা, খুচরায় ১১ টাকা ৮৭ পয়সায় ডিম বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ঢাকার বাজারে গতকাল সোমবার ব্রয়লার মুরগির বাদামি ডিম বিক্রি হয়েছে প্রতি ডজন ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা দরে। কোথাও কোথাও খুচরা পর্যায়ে ১৯০ টাকা ডজনও বিক্রি হয়েছে। ডিমের বাজারের এই কারসাজি থামাতে বাজারে অভিযানে নেমেছে সরকার। তবে তাতে দাম তেমন একটা কমেনি। বরং কিছু কিছু পাইকারি বাজারে ডিম বিক্রি বন্ধ অথবা কমিয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এতে বরং সরবরাহে ঘাটতি তৈরি হয়েছে।
ডিমের মূল্যবৃদ্ধির জন্য খামারিরা উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়া এবং সরবরাহ–সংকটকে দায়ী করছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এই দুটি সমস্যা সমাধানে কার্যকর উদ্যোগ দেখা যায়নি। নতুন অন্তর্বর্তী সরকার ৮ অক্টোবর সাড়ে চার কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে।
আমদানির কিছু ডিম ইতোমধ্যে ভারত থেকে দেশের বাজারে এসেছেও। এরপরও ডিমের বাজার কোনো মতেই নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না সরকার। এই অবস্থায় নতুন দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হলো। তবে এই দাম কতটা কার্যকর হবে সেটা নিয়ে জনমনে রয়েছে সংশয়।