মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা তদন্তের জন্য জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন পুলিশের কাছ থেকে একগুচ্ছ তথ্য চেয়েছে। পুলিশ সদর দফতরের মুখপাত্র এআইজি ইনামুল হক সাগর জানিয়েছেন, তারা তথ্য সরবরাহ করতে প্রস্তুত।
সূত্রমতে, জাতিসংঘ ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্টের মধ্যে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনার তদন্ত করছে। তারা জানতে চায়, গণঅভ্যুত্থানের সময় কতজন মারা গেছেন, আহত হয়েছেন, কতটি মামলা হয়েছে এবং কতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া, আন্দোলনের সময় পুলিশ কত রাউন্ড গুলি করেছে এবং গুলির নির্দেশকরা কে ছিলেন, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
পুলিশ সদর দফতর ইতোমধ্যে সারাদেশের ইউনিটগুলোতে তথ্য সংগ্রহের জন্য চিঠি পাঠিয়েছে। সংগ্রহকৃত তথ্য পরবর্তীতে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
পুলিশের আরেক কর্মকর্তা জানান, ৫ আগস্টের পর পুলিশ বাহিনী অভ্যন্তরীণ আটটি পৃথক সংস্কার কমিটি গঠন করেছে এবং সংস্কারের প্রস্তাবনা নিয়ে বৈঠক করেছে।
জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং দলের সদস্যরা মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের সত্যতা উদ্ঘাটন এবং দায়দায়িত্ব চিহ্নিতকরণের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্মকর্তা, চিকিৎসক ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষাৎকার নেবে।
তদন্তের প্রক্রিয়া গোপনীয় থাকবে এবং এই বিষয়ে তদন্ত দলের সদস্যরা গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলবেন না। জাতিসংঘের হাইকমিশনার দফতরের এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রধান রোরি মুঙ্গোভেন ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং দলের নেতৃত্বে রয়েছেন।