গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের করা মামলা প্রত্যাহার করে খালাস দিয়েছেন আদালত।
রোববার (১১ আগস্ট) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক রবিউল আলম এ আদেশ দিয়েছেন। দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর ও কোর্ট ইন্সপেক্টর আমির হোসেন গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম ও পরিচালক এসএম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী, অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলী, অ্যাডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান, প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম ও দপ্তর সম্পাদক কামরুল ইসলাম।
গত বছরের ৩০ মে গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক। সংস্থার উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। গত ১ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার ১৪ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। পরে গত ২ এপ্রিল ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত চার্জশিট আমলে গ্রহণ করেন।
একইসঙ্গে মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এ বদলি করেন। গত ২ জুন এ মামলার অভিযোগ গঠনের বিষয়ে দুদক ও আসামিপক্ষ শুনানি করেন। তবে শুনানি শেষে হলেও আদালত এ বিষয়ে আদেশের জন্য ১২ জুন দিন ধার্য করেন। ওইদিন আদালত দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মোশাররফ হোসেন কাজলকে আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ পাঠ করে শোনাতে বলেন। তখন তিনি আসামিদের অভিযোগ পড়ে শোনান। পড়া শেষে আপনারা দোষী না নির্দোষ জানতে চাওয়া হয়। ড. ইউনূসসহ অপর আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করেন। পরে আদালত অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে ১৪ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন।