দেশের পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে আসায় কারফিউ শিথিলের সময় আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আগামীকাল বুধবার (৩১ জুলাই) থেকে শনিবার (৩ আগস্ট) চার দিন ঢাকাসহ চার জেলায় কারফিউ শিথিল থাকবে সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) সন্ধ্যায় সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এই কথা জানিয়েছেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতা চরম আকার ধারণ করায় সন্ধ্যা আইন বা কারফিউ জারি করা হয়েছিল। দেশের পরিস্থিতি আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হয়ে আসায় তা শিথিলের সময়ও বাড়ানো হচ্ছে। ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও নরসিংদীতে ১৩ ঘণ্টা করে কারফিউ শিথিল থাকবে।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ব্যাপক সহিংস রূপ ধারণ করলে ১৯ জুলাই শুক্রবার রাত ১২টা থেকে কার্যকর হয় কারফিউ। একই সময়ে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তায় সারাদেশে মাঠে নামে সেনাবাহিনী। এরপর প্রতিদিনই কয়েক ঘণ্টা করে কারফিউ শিথিল করা হয়। ধাপে ধাপে বাড়ে শিথিলের সময়।
সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, কবে থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে সেটি শিক্ষামন্ত্রী সিদ্ধান্ত নেবেন। টেকনিক্যাল বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নেবেন যে, কবে থেকে পরিপূর্ণভাবে ইন্টারনেট চালু হবে।
এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভাপতিত্বে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাতজন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। টানা কয়েক ঘণ্টার বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী নজরুল ইসলাম চৌধুরী, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত, পররাষ্ট্র সচিব, বাণিজ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা ও জননিরাপত্তা বিভাগের দুই সচিব, আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন এবং র্যাব, বিজিবি ও আনসার প্রধানসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তারা অংশ নেন।