কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতা ঘিরে বন্ধ রয়েছে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ধীরে ধীরে জনজীবন স্বাভাবিক হতে শুরু করলেও এখনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার মতো পরিস্থিতি হয়নি বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।
সোমবার (২৯ জুলাই) বিকেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে পেনশন ইস্যুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার নিয়ে জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহ থেকে শুরু হয় আন্দোলন। ১৫ জুলাই এসে তা সহিংসতায় রূপ নেয়। ১৬ জুলাই ঢাকাসহ দেশের কয়েকটি স্থানে আন্দোলনের মধ্যে সহিংসতায় প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। এরপর সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে আন্দোলন, সহিংসতায় বাড়তে থাকে প্রাণহানি।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গত ১৬ জুলাই সারাদেশে স্কুল-কলেজ-মাদরাসা-পলিটেকনিকসহ সব পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। একইসঙ্গে বন্ধ ঘোষণা করা হয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত মেডিকেল কলেজ, টেক্সটাইল, ইঞ্জিনিয়ারিংসহ অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এছাড়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সব কলেজও বন্ধ রয়েছে। পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ও।
থমথমে অবস্থার মধ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কারফিউ জারি করে সেনা মোতায়েন করে সরকার। এমন অবস্থার মধ্যেও আজ অনেক জায়গায় সড়কে নামে শিক্ষার্থীরা। এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ‘এ বিষয়ে যারা দায়িত্বপ্রাপ্ত আছেন তাদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। এই মহূর্তে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার মতো পরিস্থিতি নেই। আর আপনারা যেমনটি বলছেন কয়েকজন নেমেছে, কয়জন নেমেছে বা কি হয়েছে সে ব্যাপারে এই মুহূর্তে আমাদের কাছে তথ্য নেই। তথ্য পেলে আমরা জানাতে পারব।’
আজকের মন্ত্রিসভায় প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এটা নিয়ে আমি এখন কোনো মন্তব্য করব না। সেখানে কী আলোচনা হয়েছে সেটি নিয়ে বাইরে আলোচনা করা যায় না।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।