কোটা সংস্কারের দাবির আন্দোলনে নজিরবিহীন নাশকতার জেরে বন্ধ হয়ে যাওয়া মেট্রোরেল আবার কবে চালু হবে সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শনিবার (২৭ জুলাই) সকালে রাজধানীর বনানীতে নাশকতায় আক্রান্ত সেতু ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
মেট্রোরেল কবে নাগাদ চালু হতে পারে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, মেট্রোরেল না থাকায় মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে। ৩০ মিনিটের পথ দুই ঘণ্টায়ও যেতে পারছে না। সহিংসতার শিকার মেট্রোরেল কবে নাগাদ চালু হবে তা নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না।
গত ১৯ জুলাই বিকেলে রাজধানীর মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনে হামলা হয়। ভাঙচুর করা হয় সিসি (ক্লোজড সার্কিট) ক্যামেরা, এলইডি মনিটর, টিকিট কাটার মেশিনসহ বিভিন্ন জায়গায়। লুট করা হয় মূল্যবান অনেক জিনিস। পরে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা নির্ণয়ে কমিটি করেছে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ।
ক্ষতিগ্রস্ত মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশন চালু হতে কমপক্ষে এক বছর লাগতে পারে বলে জানায় মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। সহিংসতার ঘটনায় মিরপুর ও কাফরুল থানায় সাধারণ ডায়েরি হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের পর মামলা করা হবে বলেও জানায় ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) কর্তৃপক্ষ।
নাশকতার সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, হামলাকারীদের যে ফুটেজ ছিল তা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দেওয়া হয়েছে। তারা পরপর দুইবার পদ্মা সেতুতে আগুন লাগাতে গিয়েছিল। শেখ হাসিনার যা অর্জন তা ধ্বংস করতে চায় তারা। এসব ধ্বংসযজ্ঞ দেখে নেত্রী কষ্ট পাচ্ছেন।
কাদের বলেন, এটা সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের কাজ না। বিএনপি-জামায়াত এই আন্দোলনের ওপর ভর করেছে। তাদের দীর্ঘ দিনের ব্যর্থতার জন্য এমন হামলা। তারা গণতন্ত্র মানে না। আগুন, অস্ত্র নিয়ে নেমেছে তারা। কত মানুষের প্রাণের প্রদীপ নিভে গেছে। মর্মান্তিক দৃশ্যপট, সাংবাদিকও নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আন্দোলনের উপর ভর করে যারা রাজনৈতিক রূপ দেওয়ার চেষ্টা করছে তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।