ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দিনভর ছাত্রলীগের হামলায় দুই শতাধিক আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন কোটা সংষ্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদুল ইসলাম।
আজ সোমবার রাত ৯.৩০ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, এ হামলা পরিকল্পিতভাবে হয়েছে। সরকার এ আন্দোলন সহিংসভাবে বন্ধের চেষ্টা করছে। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে তিনি জানান, আগামীকাল বিকেল ৩.০০ টায় দেশের সব ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করা হবে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে। এরপর চলমান অবরোধ কর্মসূচিও পালন করা হবে।
নাহিদ ইসলাম বলেন, আপনারা দেখেছেন, আজকে কীভাবে হামলা চালানো হয়েছে। হামলায় আমাদের ২ শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। চলমান এ আন্দোলন এখন সাধারণ মানুষের সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে আমাদের থামানোর চেষ্টা করা হয়েছে।
এর আগে গতকাল বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধার নাতি-পুতিরা কোটা পাবে না, তো কি রাজাকারের নাতি-পুতিরা পাবে?’ এমন বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদে মুখর হয়ে পড়েন।
এদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের হটিয়ে দিয়েছে ছাত্রলীগ। এরপর থেকে রাজু ভাস্কর্য দখলে নিয়েছে তারা। শেষ খবর পাওয়া সোয়া ৫টার দিকে শেখ রাসেল টাওয়ার এলাকায় আন্দোলনকারীদের ধরে আবার মারধর করে এবং সাড়ে ৫টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসারতদেরও মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে।
এর আগে গতকাল রাত থেকেই কোটা সংস্কার ইস্যুতে চলমান আন্দোলন নতুন রূপ পেতে শুরু করে। শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন হল থেকে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। এরপর রাত দুইটার দিকে তারা হলে ফিরে যান এবং আজ সকালে থেকেই আন্দোলন নতুন দানা বাধতে থাকে। পরবর্তীতে বিকেলের দিকে ছাত্রলীগ আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালালে সংঘর্ষ ও আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। এখন পর্যন্ত শতাধিক শিক্ষার্থীর আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।