বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মির্জা আব্বাস বলেছেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের হাত থেকে দেশের গণতন্ত্র, স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করাটাই বড় চ্যালেঞ্জ।
তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকলে পুরো দেশ অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ জাতিকে এবং দেশকে অসুস্থতা থেকে মুক্ত করতে হবে।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির নবগঠিত কমিটির নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে মাজার জিয়ারত করেন মির্জা আব্বাস। এ সময় সমবেত নেতাকর্মীদের নিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও জনগণের ভোটাধিকার আন্দোলন সফলে শপথবাক্য পাঠ করান মির্জা আব্বাস।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন পর জিয়াউর রহমানের মাজারে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির বিগত কমিটির নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন থানা এবং ওয়ার্ডের নেতাকর্মী ছাড়াও মহানগর ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দলসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মী জমায়েত হন। তারা খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবিতে এবং ঢাকা মহানগর বিএনপির নবগঠিত কমিটিকে স্বাগত জানিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
উল্লেখযোগ্য নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মো: আবদুস সালাম, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ঢাকা উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল আলম নীরব, সদস্য সচিব আমিনুল হক, দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু, সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবীন, যুবদলের সভাপতি মোনায়েম মুন্না, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী প্রমুখ।
সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের চলমান কোটাবিরোধী আন্দোলনকে যৌক্তিক আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, সরকার ষড়যন্ত্র করছে।
মির্জা আব্বাস বলেন, আমরা সবাই মিলে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছি। সবাই শপথ নিলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হবে। খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকলে পুরো দেশ অসুস্থ হয়ে যায়। তিনি এখন মারাত্মক অসুস্থ। আল্লাহর কাছে দোয়া করি তিনি যেন বেগম খালেদা জিয়াকে আমাদের মাঝে ফিরিয়ে দেন। দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে গিয়ে যা করা দরকার মহানগর বিএনপি নেতারা আগামীতে তা করবেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোটা সংস্কারের আন্দোলন যৌক্তিক ও ন্যায্য। বিএনপি সমর্থন দিয়েছে বলেই আসল বিষয়টি ধামাচাপা দিতে চায়। এটা তাদের অপকৌশল। আমরা আশঙ্কা করছি, এই আন্দোলনের ফাঁক দিয়ে সরকার কোনো অপকর্ম বা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে কিনা।
তিনি আরো বলেন, আমাদের আন্দোলন কখনো ব্যর্থ হয়নি। বরং সরকার আন্দোলন নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্র করেছে। অনেক নেতাকর্মী দলে দলে কারাগারে গেছেন। আবার বের হচ্ছে আবার জেলে যাচ্ছে। মিথ্যা মামলায় জর্জরিত। অনেকেই গুলি খেয়েছেন। সুতরাং আন্দোলন ব্যর্থ হয়নি।
উল্লেখ্য, গত ৭ জুলাই ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির দুই সদস্যের নতুন আংশিক আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করে বিএনপি। ঢাকা মহানগর উত্তরে জাতীয়তাবাদী যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরবকে আহ্বায়ক ও বিএনপির ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক ফুটবলার আমিনুল হককে সদস্য সচিব এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণে সাবেক সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুকে আহ্বায়ক ও সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক তানভীর আহমেদ রবিনকে সদস্য সচিব করা হয়।