বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ছাড়া এদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক মুক্তি হবে না। দেশে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা হবে না। সর্ব প্রথম আমাদেরকে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে, তবেই দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসবে।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনস্থ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় এক দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয়তাবাদী যুবদলের উদ্যোগে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আরোগ্য কামনায় এই দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
মির্জা আব্বাস বলেন, নবগঠিত কমিটিগুলোর দলের প্রতি অনেক দায়িত্ব রয়েছে। এই নতুন গঠিত কমিটির মাধ্যমেই দলে নতুন জীবন দান করবে। দেশে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠায় তারা কতটুকু ভূমিকা রেখে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে পারবে, সামনে তাদের বিশাল পরীক্ষা হবে।
তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার জন্য আমরা কয়েকদিন পর পর দোয়া করছি। এই দোয়া করা একটা ভালো বিষয়। তবে দোয়া কোনো রাজনীতির অংশ নয়। এটা ধর্মীয় অংশ। ধর্মের অংশ হিসেবে আমরা দোয়া করবো। আর রাজনৈতিক অংশ হিসেবে আমাদের কিছু দাওয়াইও লাগবে। শুধু দোয়া দিয়ে বেগম খালেদা জিয়া মুক্ত হবে না। আর রাজনৈতিক দাওয়া বিহীন বেগম খালেদা জিয়াও মুক্ত হবে না। এই কথা আমাদের সকলের মাথায় রাখতে হবে।
যুবদল সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্নার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়নের সঞ্চালনায় মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বিএনপি চেয়ারপার্সন উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল আলম নীরব, সদস্য সচিব আমিনুল হক, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু, সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবীন, যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি রেজাউল করীম পল, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক বিল্লাল হোসেন তারেক, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামরুজ্জামান জুয়েল, দফতর সম্পাদক নূরুল ইসলাম সোহেল, ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের আহ্বায়ক শরীফ উদ্দিন জুয়েল, সদস্য সচিব সাজ্জাদুল মেরাজ, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক এমএ গাফ্ফার, সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম নয়নসহ যুবদলের বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের পরে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আশু আরোগ্য কামনায় বিশেষ মোনাজত হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন ওলামা দলের সদস্য সচিব কাজী মো. আবুল হুসাইন।