জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক সদস্য মতিউর রহমান ও তার স্ত্রী-সন্তানদের নামে থাকা আরও ৭১ বিঘা জমি (২,৩৬৫ শতক) ও ঢাকায় ৪টি ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি মতিউর ও তার স্ত্রী-সন্তানদের নামে থাকা ১১৬টি ব্যাংক হিসাবে জমা থাকা ১৩ কোটি ৪৪ টাকা অবরুদ্ধ করার আদেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া মতিউর ও তার স্ত্রী-সন্তানদের নামে থাকা ২৩টি বিও হিসাব অবরুদ্ধ করারও আদেশ দিয়েছেন আদালত।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন বৃহস্পতিবার (১১ জুন) এই আদেশ দেন।
এর আগে ৪ জুলাই মতিউর ও তার স্ত্রী-সন্তানদের নামে থাকা আরও ৮৬৬ শতক জমি ও ঢাকার চারটি ফ্ল্যাট জব্দের (ক্রোক) আদেশ দিয়েছিলেন আদালত।
আদালত সূত্র জানায়, দ্বিতীয় দফায় এনবিআরের মতিউর ও তার প্রথম স্ত্রীর ছেলে আহমেদ তৌফিকুর রহমান, প্রথম স্ত্রীর মেয়ে ফারজানা রহমান ঈশিতা এবং দ্বিতীয় স্ত্রী শাম্মী আক্তারের নামে থাকা ২ হাজার ৩৬৫ শতক জমি জব্দের আবেদন করা হয়। পাশাপাশি প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজের নামে থাকা মিরপুরের ৪টি অ্যাপার্টমেন্ট জব্দের আবেদন করা হয়। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেছেন।
সম্প্রতি মতিউর রহমানের প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজ ও তার ছেলে আহমদ তৌফিকুর রহমানের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন ঢাকার আদালত।
উল্লেখ্য, গত ঈদুল আজহার সময় মতিউর রহমানের দ্বিতীয় স্ত্রীর ছেলে মুশফিকুর রহমান ১৫ লাখ টাকার ছাগল কিনতে গিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনায় আসেন। এই সূত্র ধরেই এনবিআরের মতিউরের বিপুল পরিমাণ সম্পদের বিষয়টি আলোচনায় আসে।