বাংলা ব্লকেড থেকে সরে এসে কোটাবিরোধীদের নতুন কর্মসূচি

0
55

কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিতে সরকারকে তিন দিনের সময় বেঁধে দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। সোমবারের (৮ জুলাই) বাংলা ব্লকেড কর্মসূচি শেষ করেন তারা। রাতে শাহবাগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে এ সময় দেয়া হয়।

আগামীকাল (মঙ্গলবার) অনলাইন ও অফলাইনে জনসংযোগ ও পরশু (বুধবার) পূর্ণদিবস সর্বাত্মক ব্লকেডের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের’ নেতারা। সোমবার (৮ জুলাই) বিকেল সোয়া ৪টা থেকে টানা ৫ ঘণ্টা রাজধানীর বিভিন্ন মোড়ে অবরোধের পর রাত সাড়ে ৮টায় শাহবাগে নতুন এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম। চলমান চার দফা দাবিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে এক দফা দাবিতে নামিয়ে দ্বিতীয় দিনের বাংলা ব্লকেড কর্মসূচি শেষে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন তারা।

আন্দোলনকারীরা জানান, মঙ্গলবার ব্লকেড কর্মসূচি থাকবে না। ছাত্র ধর্মঘট এবং ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি পালন করা হবে। বেঁধে দেয়া সময়ে দাবি আদায় না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেয়ার হুঁশিয়ারি দেন তারা।

আজ বিকেল সাড়ে ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে থেকে ব্লকেড কর্মসূচি শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। এসময় শিক্ষার্থীরা রাজধানীর কাঁটাবন, শাহবাগ, ইন্টারকন্টিনেন্টাল, মৎস্য ভবন, কারওয়ান বাজার, বাংলামটর, চাঁনখারপুল ও ফার্মগেটসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে অবস্থান করেন।

কর্মসূচি ঘোষণা করে নাহিদ ইসলাম বলেন, আমরা সর্বাত্মক ব্লকেডের পরিকল্পনা করছি। আগামীকাল অনলাইন ও অফলাইনে জনসংযোগ চলবে। সারেদেশে আন্দোলন পরিচালনার জন্য ৬৫ সদস্যের সমন্বয় টিম গঠন করেছি। তাদের সাথে আলোচনা করে আগামীকাল প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে বুধবারের জন্য কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

গত ৫ জুন সরকারি চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। এরপর ৯ জুন হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। ওইদিন এ আবেদন শুনানির জন্য আপিল বিভাগে পাঠিয়ে দেন চেম্বার আদালত। সেদিন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেছিলেন, সরকারি চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায় বহাল থাকবে নাকি বাতিল হবে, এ বিষয়ে আপিল বিভাগই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে, হাইকোর্টের দেয়া রায় আপাতত বহাল রাখার নির্দেশ দেন। আর গত ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর সরকারি চাকরিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদে সরাসরি নিয়োগ বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি তুলে দিয়ে পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here