নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে শাহবাগ থেকে সরে গেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী শনিবার সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে। এরপর রোববার ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন ও ধর্মঘট করা হবে বলে জানিয়েছেন তারা। এর আগে শুক্রবার অনলাইন ও অফলাইনে জনসংযোগ ও সারাদেশে সমন্বয় করা হবে।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দুপুর ১২টা থেকে শুরু করে প্রায় ৬ ঘণ্টা শাহবাগ মোড় অবরুদ্ধ করে রাখে আন্দোলনকারী। এরপর বিকেল ৬টায় তারা এই কর্মসূচি ঘোষণা করে।
নতুন কর্মসূচি ঘোষণার ঘণ্টাখানেক আগে প্রায় মুখোমুখি অবস্থানে চলে আসে পুলিশ এবং শিক্ষার্থীরা। তবে শেষ পর্যন্ত কোনো ধরনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি।
কোটা আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ হাসান পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করেন বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করছি।
চার দফা দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। দাবিগুলো হলো—
১. ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখা।
২. পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠনপূর্বক দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরির সমস্ত গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দেওয়া (সুবিধাবঞ্চিত ও প্রতিবন্ধী ব্যতীত)।
৩. সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্যপদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দেওয়া।
৪. দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধাভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
উল্লেখ্য, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের এক রিটে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে গত ৫ জুন কোটা পুনর্বহালের আদেশ দেন বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
উচ্চ আদালতের এমন আদেশের পর আবারও ফুঁসে ওঠেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। কোটা বাতিলের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ করেন তারা।