ফেনীতে ভারতীয় উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে পানির চাপে সোমবার দিবাগত রাত মুহুরী ও কহুয়া নদীর ৬টি স্থানে বাঁধ ভেঙ্গে ১২টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
প্লাবিত এলাকার রাস্তাঘাট, দোকানপাঠ, মাছের খামার, পুকুর, দোকানপাট ও ফসলি জমি ডুবে গিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বন্যার পানিতে ঢুবে মারা গেছেন মামুন নামের এক যুবক।
এমন পরিস্থিতিতে ফেনীর ফুলগাজী ও পরশুরামে মঙ্গলবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। বন্যাকবলিত এলাকা ও বাঁধের ভাঙন পরিদর্শন করেছেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক এমপিসহ জনপ্রতিনিধি ও সরকারী কর্মকর্তারা। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (সন্ধ্যা ৬টা) এখনও মুহুরী-কহুয়া নদীর পানি বিপদসীমার ১১৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
এদিকে মৎস্য বিভাগ, কৃষি বিভাগ, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ বন্যায় ক্ষয়-ক্ষতির সম্ভাব্য তথ্য সংগ্রহ করছেন।
ফেনীস্থ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ রাশেদ শাহারিয়ার বলেন, সোমবার রাতে পানির চাপে মুহুরী কহুয়া নদী রক্ষা বাধের ৬টি স্থানে ভেঙে বিস্তৃর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে নদীর পানি ১১৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানির চাপ স্বাভাবিক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাঙনের স্থানে জরুরি ভিত্তিতে সংস্কার কাজ শুরু হবে।