প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলন চলছে। প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে চলমান আন্দোলন নিয়ে মন্তব্যের জেরে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর পদত্যাগ দাবি করেছেন ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ’র কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
বুধবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে অবস্থান ও বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে এমন দাবি জানান তারা।
আন্দোলনকারীরা বলেন, আমরা শুনেছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৩৫ লাখ গ্র্যাজুয়েট তৈরি করেছে। সেই ৩৫ লাখ গ্র্যাজুয়েটের মধ্যে অর্থমন্ত্রীও একজন। তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই পাস করেছেন। শুনেছি তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবেও জয়েন করেছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৩৫ লাখ গ্র্যাজুয়েট তৈরি করেছে, তারা আমাদের গর্ব। কিন্তু অর্থমন্ত্রীর মতো এমন ‘অথর্ব’ গ্র্যাজুয়েট দিয়ে আমরা কী করবো?’
সংগঠনটির নেতারা বলেন, এমন কোনো শক্তি নেই যে আমাদের এই আন্দোলন থামাতে পারে। অর্থমন্ত্রী আপনাকে অনুরোধ করবো, আপনি প্রত্যয় স্কিম নামে আপনার যে একটা ভুয়া স্কিম আমাদের ওপর চাপিয়ে দিয়েছেন সেটি প্রত্যাখ্যান করুন। তা না হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য (বিশ্ববিদ্যালয়ের) কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষকদের আন্দোলনের মুখে আপনার অবস্থানচ্যুতি ঘটতে পারে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ যখন উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তখন এমন ষড়যন্ত্র করে যারা পরিস্থিতিকে উত্তপ্ত করছে, তাদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
বক্তারা আরও বলেন, যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে ছিনিমিনি খেলার দুঃসাহস দেখায়, তার কোনোভাবেই যোগ্যতা এবং ক্ষমতা নেই গদিতে থাকার।
এর আগে সকাল ১০টা থেকেই সর্বাত্মক কর্মবিরতির অংশ হিসেবে ঐক্য পরিষদের নেতারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন।
এ সময় তারা অর্থমন্ত্রীর নামে ‘ভুয়া’ ‘ভুয়া’ স্লোগান দেন। মঙ্গলবার প্রত্যয় স্কিম বাতিলে শিক্ষকদের দাবি প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, এই আন্দোলনের কোনো যৌক্তিকতা খুঁজে পাচ্ছি না। জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষও আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যয় কর্মসূচি নিয়ে একটি ব্যাখ্যা দিয়েছে। প্রত্যয় কর্মসূচিতে শিক্ষকদের সুবিধা কমবে বলে যে অভিযোগ উঠেছে, তা খণ্ডন করে এই ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে।