কলকাতার নিউটাউনে সঞ্জীভা গার্ডেনের সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার দেহাংশ ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের বলে ধারণা করছে পশ্চিমবঙ্গ ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। তবে বিষয়টি নিশ্চিত হতে ওই দেহাংশের ডিএনএ পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তদন্তকারীরা। পরীক্ষার নমুনা দিতে কলকাতায় ডাকা হয়েছে আনারকন্যা মুমতারিন ফেরদৌস ডরিনকে। কিন্তু ভিসা জটিলতার কারণে এখন পর্যন্ত যেতে পারছেন না তিনি। ফলে আটকে আছে ডিএনএ পরীক্ষাও।
জানা গেছে, চিকিৎসার জন্য কলকাতায় গিয়ে নিখোঁজ হন এমপি আনার। গত ১৩ মে নিউটাউনের সঞ্জীভা গার্ডেনের একটি ফ্ল্যাটে তাকে খুন করা হয় বলে জানা যায়। ২২ মে হত্যার বিষয়টি জানাজানি হয়। সে সময় পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, হত্যার পরে এমপি আনারের মরদেহ টুকরো টুকরো করে কেটে ফেলে দেওয়া হয়েছে।
ঘটনাটির তদন্তে কলকাতায় যায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল। ডিবির প্রধান হারুন অর রশিদ জানান, সঞ্জীভা গার্ডেনের সেপটিক ট্যাংক থেকে উদ্ধার করা হয়েছে কিছু হাড় এবং মাংসের টুকরো। তাদের ধারণা— সেটি আনারের দেহাংশ। সেই দেহাংশের ডিএনএ এবং ফরেন্সিক পরীক্ষা করা হলেই জানা যাবে দেহাংশগুলো আনারের কি না।
একই দিন ডিএনএ পরীক্ষার জন্য কলকাতায় ডাকা হয় আনারকন্যা ডরিনকে। কিন্তু ভিসা জটিলতার কারণে কলকাতায় যেতে পারছেন না তিনি। শুক্রবার (৩১ মে) তিনি জানান, ডিএনএ পরীক্ষার নমুন নিতে তাকে এবং তার চাচা আবেদ আলীকে কলকাতায় ডাকা হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত ভিসা হাতে না পাওয়ায় কলকাতায় যাওয়া যাচ্ছে না।
ডরিন বলেন, রোববার ভিসার জন্য আমি ভারতীয় হাইকমিশনে যাব। সেখানেও ভিসা না পেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করব।
পুলিশের পক্ষ থেকে আশা করা হচ্ছে— খুব দ্রুতই ভিসা জটিলতা কেটে যাবে। দু’একদিনের মধ্যে কলকাতায় যেতে পারবেন ডরিন ও আনারের ভাই আবেদ আলী।