ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে সিলেটের বিভিন্ন উপজেলায়। বিশেষ করে সীমান্তবর্তী জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, বিয়ানীবাজার, জকিগঞ্জ ও গোলাপগঞ্জের অনেক এলাকা এখন বন্যাকবলিত।
কুশিয়ারা নদীর ১০ স্থানে বাঁধ ভেঙে তলিয়ে গেছে বিয়ানীবাজারের গ্রামের পর গ্রাম। এছাড়া সারি ও বড়গাঁও নদী উপচে পানি ঢুকতে শুরু করেছে লোকালয়ে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার (৩০ মে) পর্যন্ত দুর্গতদের জন্য খোলা হয়েছে ৪৭০টি আশ্রয়কেন্দ্র।
এদিকে বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান গোয়াইনঘাট ও জৈন্তাপুরের বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন। তিনি সারিঘাট থেকে নৌকায় গোয়াইনঘাটের পূর্ব আলীরগাঁও, পশ্চিম আলীরগাঁও ও সদর এলাকা পরিদর্শনে যান। পূর্ব আলীরগাঁও ইউনিয়নের লাফনাউটে তিনি প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে বন্যাদুর্গত বিভিন্ন পরিবারের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন।
জেলা প্রশাসন জানায়, মোট খোলা ৪৭০টি আশ্রয়কেন্দ্রের মধ্যে গোয়াইনঘাটে ৫৬, জৈন্তাপুরে ৪৮, কানাইঘাটে ১৮, কোম্পানীগঞ্জে ৩৫ ও জকিগঞ্জে ৫৮টি। কিছু আশ্রয়কেন্দ্রে এরইমধ্যে লোকজন উঠেছে। ত্রাণ পর্যাপ্ত রয়েছে। বন্যার কারণে ইতোমধ্যে ১ হাজার ৬৬০ হেক্টর আবাদি জমির ফসল পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। বন্যাদুর্গত পরিবারের সংখ্যা ৪২ হাজার ৯০০টি এবং মানুষের সংখ্যা ২ লাখ ৪৫ হাজার ৯৫০। যদিও বন্যাকবলিত মানুষ ৫ লাখ হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলার জনপ্রতিনিধিরা।
জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান জানান, বন্যার্তদের জন্য আপাতত হাজার বস্তা শুকনো খাবার, ৭৫ টন চাল ও আড়াই লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ত্রাণের সমস্যা হবে না।