জলদস্যুদের জিম্মিদশা থেকে মুক্ত এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজের ২৩ নাবিক অবশেষে চট্টগ্রামে পৌঁছলেন। তাদের ফুল দিয়ে বরণ করে নিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ও পরিবারের স্বজনরা। এমভি আবদুল্লাহ কুতুবদিয়ায় নোঙর করে সোমবার সন্ধ্যা ৬টায়।
মঙ্গলবার বিকাল পৌনে ৪টার দিকে চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল-১ (এনসিটি) নম্বর এসে পৌঁছালে নাবিকদের নিয়ে সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বন্দর কর্তৃপক্ষ। স্বজনদের পাশাপাশি কেএসআরএমের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও এখানে উপস্থিত ছিলেন।
জিম্মিদশা থেকে মুক্ত হওয়ার পর নাবিকদের কাছে পাওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন স্বজনেরা। জেটিতে তাদের কারো হাতে ছিল ফুল, কারও হাতে কেক।
এমভি আবদুল্লাহর চিফ অফিসার আতিকুল্লাহ খানের ছোট ভাই আবদুর নূর খান আসিফ গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা যে কতটা খুশি, তা ভাষায় বোঝাতে পারব না। পরিবারের সবাই এই দিনটির অপেক্ষায় ছিলাম।
কেএসআরএমের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, অবশেষে শুভক্ষণ এসেছে। জাহাজের নাবিকরা বিকাল ৪টার দিকে চট্টগ্রামে ফিরেছে। তাদের বরণ করে নিতে পরিবারের অনেকেই এসেছেন। সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠান শেষে নাবিকেরা নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে যাবেন। তাদের বাড়ি ফিরতে যেন কোনো বিঘ্ন সৃষ্টি না হয় তার জন্য সব রকম ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
এমভি আবদুল্লাহ গত ৪ মার্চ আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর থেকে কয়লা নিয়ে যাত্রা করে। ১৯ মার্চ সংযুক্ত আরব আমিরাতের হারমিয়া বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল। এর মধ্যে ১২ মার্চ দুপুর দেড়টার দিকে জাহাজটি ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়ে।
মুক্তিপণের বিনিময়ে এক মাস পর গত ১৩ এপ্রিল বাংলাদেশ সময় রাত ৩টায় মুক্তি পান এমভি আবদুল্লাহসহ ২৩ নাবিক। মুক্তির পর দুবাইয়ের উদ্দেশে রওনা দেন তারা। ২১ এপ্রিল বিকাল সাড়ে ৪টা নাগাদ সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের আল হারমিয়া বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছে। এতে থাকা ৫৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লা সেখানে খালাস করা হয়। পরবর্তী সময়ে আমিরাতের মিনা সাকার বন্দর থেকে ৫৬ হাজার মেট্রিক টন চুনাপাথর লোড করা হয়। এসব পণ্য নিয়ে দেশের পথে রওনা দেয়।