জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দারুণ শুরুর পর বাংলাদেশের ইনিংস থামে ১৪৩ রানে। লক্ষ্যটা নাগালের মধ্যেই ছিল সফরকারীদের। এরপর প্রতিপক্ষ দুর্বল জিম্বাবুয়ে বলেই আশা ছিল বাংলাদেশের। সেই আশা নিয়েই বোলিংয়ে লড়াই চালিয়ে গেছেন তাসকিন-মুস্তাফিজরা। ম্যাচটা জমিয়েও তুলেছিলেন তারা। ম্যাচ জিততে শেষ ওভারে করতে হতো ১৪ রান। সাকিবের বলে ছক্কা হাঁকিয়ে লক্ষ্যটা ৭ রানে নামিয়েও ফেলেছিল তারা। তবে শেষ পর্যন্ত বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়ে পরপর দুই উইকেট তুলে জিম্বাবুয়েকে ১৩৮ রানে অলআউট করে দেন সাকিব। বাংলাদেশ ম্যাচ জিতে ৫ রানে। মিরপুরে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে জিতে সিরিজে লিড নেয় ৪-০ তে।
এদিন ছোট লক্ষ্যে জিম্বাবুয়েকে বেধে ফেলতে সিরিজের সেরা বোলিংটাই করতে হতো বাংলাদেশকে। তাসকিন অবশ্য সেই শুরুর আভাসও দিয়েছিলেন। শূন্য রানেই সাজঘরের পথ ধরিয়েছিলেন ব্রায়ান বেনেটকে। এরপর জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক সিকান্দার রাজার উইকেট তুলে স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন বাংলাদেশকে। এরপর আঘাত হানেন সাকিব। ৩২ রানে ৩ উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে।
এরপর অবশ্য জোনাথন ক্যাম্পবেল-রায়ান বার্ল ৩৫ রানের জুটি গড়ে দলকে জয়ের পথে এগিয়ে নিয়ে যান। ঘুরে দাঁড়ায় জিম্বাবুয়ে। তাদের সুযোগ করে দিয়েছেন জাকের আলি। সহজ ক্যাচ হাতে জমাতে পারেননি তিনি। সুযোগ কাজে লাগিয়ে দলকে জয়ের পথে নিয়ে গেছেন ক্যাম্পবেল। বার্লের ২০ বলে ১৯ রানের পর তিনি ফিরেছেন ২৭ বলে ৩১ রান করে।
শেষ তিন ওভারে ম্যাচ জিততে জিম্বাবুয়ের চায় ২৭ রান। আগের ম্যাচে যেটা ছিল ২ ওভারে। ফারাজ আকরাম সে ম্যাচেই উইকেটে ছিলেন। তবে সেদিন সেই ব্যবধান ঘোচাতে পারেননি। তবে আজ এক ওভার বেশি থাকায় তার দিকে তখন তাকিয়ে পুরো জিম্বাবুয়ে দল। তবে তিনি শেষ পর্যন্ত পারেননি এদিনও। ব্যর্থ হয়েছে বাকিরাও। শেষ ওভারে ১৪ রান করতে গিয়ে সাকিবের বলে ম্যাচ ১৩৮ রানে অলআউট হয়ে ম্যাচ হেরেছে ৫ রানের ব্যবধানে।
এর আগে, সিরিজ নিশ্চিত করে ফেলা বাংলাদেশ মিরপুরে চতুর্থ ম্যাচে এসে ব্যাটিংয়ে স্বপ্নের মতো শুরু পায়। তামিম-সৌম্যর জুটিতে আসে ১০১ রান। যেখানে তামিমের ব্যাট থেকে আসে ৩৭ বলে ৫২ রান। সৌম্য করেন ৩৪ বলে ৪১ রান। দলীয় ১১ ওভারে ১০০ ছুঁই বাংলাদেশ। যদিও পরে সেটা ধরে রাখতে পারেনি বাকিরা। মাঝে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। প্রতিরোধ গড়তে পারেনি কোনো ব্যাটার। ব্যাটিং ব্যর্থতায় শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের ইনিংস থামে ১৪৩ রানে।