সরকারের জনপ্রিয়তা শূন্যের কোটায় বলে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, জনগণের বিরুদ্ধে গিয়ে ভারত এ ডামি সরকারকে বেশিদিন ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে পারবে না। ওবায়দুল কাদেরও বলেছেন ভারত সহযোগিতা না করলে আমরা নির্বাচন করতে পারতাম না। ভারত এ দেশের জনগণের বিরুদ্ধে গিয়ে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসিয়েছে।
শুক্রবার (১০ মে) রাজধানীর নয়াপল্টনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আয়োজনে সমাবেশে তিনি এ সব কথা বলেন। বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসাসহ নিঃশর্ত মুক্তি এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নবীউল্লাহ নবীসহ নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
অনলাইনের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
দুপুর থেকেই খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এই সমাবেশে জড়ো হয় নেতাকর্মীরা। এদিকে বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে নয়াপল্টন এবং এর আশপাশের এলাকায় বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়ন করা হয়েছে।
সরকারের রিমোট কন্ট্রোল (দূর নিয়ন্ত্রণ) কার হাতে? মোদির হাতে কি না এমন প্রশ্ন করে গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, ফেলানীর লাশ যেমন কাঁটাতারে ঝুলছিল, তেমনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা , কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলছে। এটা হতে দেয়া যায় না। বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, বৃহস্পতিবার প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ৭ জানুয়ারি নির্বাচন থেকে কম। ওরা (সরকার) বলে, ভোট ফেয়ার (সুষ্ঠু) হয়েছে। তবে যে যত টুকু পেয়েছে, সিল মেরেছে। বাহিরে ফিটফাট ভিতরে সদর ঘাট।
তিনি বলেন, আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ সকলের মুক্তি চাই। শুধু তাই নয়, গণতন্ত্রের পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে যারা কারাগারে আছেন সকলের মুক্তি চাই। আমাদের কর্মীরা ক্লান্ত কিন্তু হতাশ নয় জানিয়ে তিনি বলেন, যে অত্যাচার করা হয়েছে তারপরও বুক ফুলিয়ে দাঁড়িয়ে আছে স্বাধীনতা রক্ষায়। সেটা দমনোর ক্ষমতা কারো নেই। পার্শ্ববর্তী দেশেরও নয়।
সরকারকে উদ্দেশে করে গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, ক্ষমা পাওয়ার সময় পাবেন না। ক্ষমতার যত অপব্যবহার করেন, এর জবাব একদিন দিতে হবে। জবাব দিতে পারবেন কি জানি না। সেটি কি সহ্য করতে পারবেন? কারণ সীমা লংঘনকারীকে আল্লাহ পছন্দ করেন না।
‘দেশের মানুষকে সচ্ছল করেছি প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কথার সাথে বাস্তবের কোন মিল দেখছি না। প্রধানমন্ত্রীর কাছের ব্যক্তিরা দেখি বিশ্বের ধনী তালিকায় তৃতীয় হয়েছেন। আগে ছিলেন সিঙ্গাপুরের মধ্যে শীর্ষ ধনী তালিকায়, এবার গ্লোবালি ধনী হয়েছেন।
আপনি দেশের মানুষের জন্য কাজ করেননি, কাজ করেছেন আপনার কাছের ব্যক্তির জন্য। আপনি সচ্ছল করেছেন, ছাত্রলীগ, যুবলীগকে। আর কাউকে করেননি। গরীব মানুষকে আরো গরীব করছেন, পদদলিত করেছেন। উপজেলা নির্বাচন বর্জন করায় দেশের জনগণকে অভিনন্দন জানান রিজভী। অভিযোগ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর যে দুঃশাসন কায়েম করছেন। এটা চলতে দেয়া যায় না।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য ইশরাক হোসেন, জাতীয়তাবাদী যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মোনায়েম মুন্না, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, জাসাসের সদস্য সচিব জাকির হোসেন রোকন, শ্রমিক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।
এছাড়াও উপস্থিতি ছিলেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, আবুল খায়ের ভূইয়া, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, এমরান সালেহ প্রিন্স, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানীসহ বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।