গতকাল শুক্রবার (৩ মে) গাজীপুরে ট্রেন দুর্ঘটনার পর আজ শনিবার (৪ মে) সকাল পর্যন্ত ১৮ ঘণ্টা পেরিয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত লাইন থেকে বগি সরানোর কাজ শেষ করতে পারেনি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এতে চরম শিডিউল বিপর্যয়ে পড়েছে ট্রেন। কাঙ্ক্ষিত ট্রেনের আশায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা স্টেশনে অপেক্ষা করছেন যাত্রীরা।
কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে জানা গেছে, ভোর ৬টায় কমলাপুর স্টেশন থেকে রাজশাহীর ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সকাল ৮টা পর্যন্ত ট্রেন কোন প্ল্যাটফর্ম থেকে ছেড়ে যাবে, কোথায় আসবে সেটি দেওয়া হয়নি। ফলে এই ট্রেনটি কখন ছাড়বে জানেন না যাত্রীরা। যার কারণে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের।
৪নং প্ল্যাটফর্ম থেকে ভোর সোয়া ৬টায় কক্সবাজার এক্সপ্রেসের ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সেটি কখন ছেড়ে যাবে তা বলতে পারছেন না কেউ। এখন পর্যন্ত ট্রেনটি প্ল্যাটফর্মে আসতে পারেনি।
সকাল পৌনে ৭টায় চিলাহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি এখান থেকে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও বলা হচ্ছে ট্রেনটি সকাল ৯টায় ছেড়ে যাবে। কিন্তু ৮টা পর্যন্ত ট্রেন কোন প্ল্যাটফর্ম থেকে ছেড়ে যাবে, কোথায় আসবে সেটিই দেয়া হয়নি। জানা গেছে, ট্রেনটি এখনও ঢাকায়ই আসতে পারেনি।
সকাল সোয়া ৭টায় কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেসের ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সেটির প্ল্যাটফর্ম জানানো হয়নি। যদিও স্টেশন কর্তৃপক্ষ বলেছিল, ট্রেনটি সকাল সাড়ে ৮টায় কমলাপুর ছাড়বে।
এমন অবস্থায় শঙ্কা দেখা দিয়েছে, আজ সারাদিন উত্তরবঙ্গের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া সব ট্রেনেরই ভয়াবহ শিডিউল বিপর্যয় হবে।
এদিকে দুর্ঘটনার শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত রাতভর উদ্ধার অভিযানের পর সকাল থেকে আবারও লাইনের ওপর থেকে ক্রেন দিয়ে বেঁধে একে একে সরানো হচ্ছে বগি। টাঙ্গাইল কম্পিউটার ট্রেনের ইঞ্জিনের দুটি অংশ ও তেলবাহী ট্রেনের দুটি ওয়াগন এখনো লাইনের ওপর পড়ে আছে।
এদিকে এমন ভয়াবহ শিডিউল বিপর্যয়ের বিষয়ে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, টাঙ্গাইল কম্পিউটারের ইঞ্জিন ও তেলবাহী ওয়াগান সরানো গেলেই শুরু হবে লাইন মেরামতের কাজ।
উল্লেখ্য, শুক্রবার সকালে টাঙ্গাইল থেকে একটি কমিউটার ট্রেন ঢাকায় ফিরছিল। পথে জয়দেবপুর জংশনে পৌঁছালে একই লাইনে ঢাকা থেকে আসা দাঁড়িয়ে থাকা তেলবাহী ট্রেনের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে দুমড়ে মুচড়ে যায় বগি। ঘটনাস্থল থেকে দুই লোকোমাস্টারসহ চারজনকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে নেয়া হয় হাসপাতালে। দুই রেলের ইঞ্জিনসহ ১১টি বগি লাইন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।